প্রতীকী ছবি।
সংক্রমণের রেখচিত্র এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তাই দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমা দর্শনে হয়তো ইতস্তত করবেন অনেকেই। ছোঁয়াচ এড়াতে মণ্ডপে ভিড় জমতে দিতেও চায় না প্রশাসন। তাই এ বার বাড়িতে বসেই মিলবে অনলাইনে মণ্ডপ এবং প্রতিমা দর্শনের সুযোগ। এমনকি পছন্দের পুজো প্রাঙ্গণ থেকে বাড়িতে পৌঁছে যাবে পুজোর ভোগও! পোর্টালের মাধ্যমে পুজো দেখাতে এ ভাবেই পরিকল্পনা করছেন ইন্দ্রজিৎ রায়, দেব দত্তেরা।
কোভিড পরিস্থিতিতে পুজোর সময়েও স্বাস্থ্য-বিধি নিয়ে আপস করার মতো অবস্থা নেই, এটা মানছেন সকলেই। তাই প্রতিমা দর্শন করতে মণ্ডপে হাজির হওয়া উচিত হবে কি না, তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েইছে। তাই এ বার বাড়িতে বসেই পোর্টালের মাধ্যমে মিলবে দেশ-বিদেশের এবং নিজের শহরের পুজো দেখার আনন্দ। পছন্দের মণ্ডপ থেকে শুরু করে প্রতিমা বা আলোর মায়াবি রূপ— সব কিছুরই দেখা মিলবে সেখানে। মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই তো বটেই, ব্রিটেন, আমেরিকা, জাপান, কানাডা, জার্মানির দুর্গাপুজোর ছবিও থাকবে সেখানে। শহর ও শহরতলি এবং জেলার একাধিক পুজোর ছবি, বনেদি বাড়ির সন্ধ্যারতি— থাকবে সে সবও। পুজো নিয়ে এমন পোর্টালের পরিকল্পনা করেছেন যাঁরা, তাঁদের তরফে ইন্দ্রজিৎ বলছেন, ‘‘অতিমারির এই সময়ে মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে দর্শন করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তা-ও মানুষ যাতে উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন, তারই চেষ্টা করছি।’’
তবে শুধু পুজোর আনন্দই নয়, পুজোর স্বাদও বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ওই পোর্টাল। শহরের বনেদি বাড়ি এবং সর্বজনীন পুজো মিলিয়ে প্রায় ২০টি পুজোর ক্ষেত্রে এমন সুযোগই তৈরি হতে চলেছে। ইঞ্জিনিয়ার দেব জানাচ্ছেন, পুজোর চার দিনই চাইলে ওই পোর্টালের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে যাবে পুজোর ভোগ, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে যিনি ভোগ দিতে যাবেন, তাঁর হাতে দিতে হবে ২১ টাকা।
কী ভাবে পৌঁছবে পুজোর ভোগ? দেব জানাচ্ছেন, পুজোয় কবে কোন পুজো প্রাঙ্গণের ভোগ মিলবে, সেই তালিকা দেওয়া থাকবে ওই পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত অ্যাপে। সেখান থেকে পছন্দের পুজো প্রাঙ্গণকে বেছে নিলেই হল! তবে তার সংখ্যা সীমিত। দেব বলছেন, ‘‘এ বার অনেকেই হয়তো বেরোতে পারবেন না। তবে পুজোর ভোগ তো সকলেই চান। তাই এমন নেতিবাচক পরিস্থিতিতেও মানুষকে ইতিবাচক রাখতে এই প্রচেষ্টা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy