ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের শেষের দিকেই কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় আরও আটটি বায়ুদূষণ মাপার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসাচ্ছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বুধবার পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এ কথা জানিয়েছেন। বর্তমানে কলকাতা ও হাও়়ড়া মিলিয়ে দূষণ মাপার মোট চারটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র রয়েছে। তার মধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, হাওড়ার ঘুসুড়ি ও পদ্মপুকুরের যন্ত্রগুলি কাজ করছে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রটির মেরামতি চলছে। চলতি বছরের শেষে সেটিও ফের চালু করা হবে।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছেন, কলকাতায় ম্যাডক্স স্কোয়ার, বিডন স্কোয়ার, দেশবন্ধু পার্ক, বাসন্তী দেবী কলেজ, যাদবপুরের ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সায়েন্সেস-এ ওই নতুন যন্ত্রগুলি বসানো হবে। সল্টলেকের এটিআই, ব্যারাকপুরের পুলিশ ট্রেনিং কলেজ, আইআইএম জোকাতেও ওই যন্ত্র বসবে। এর বাইরে চুঁচুড়া পুরসভা, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি খড়্গপুরেও বায়ুদূষণ মাপার যন্ত্র বসানো হবে।
বায়ুদূষণের নিরিখে কলকাতা বারবার দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে। পরিবেশবিদেরা জানাচ্ছেন, নভেম্বর থেকে মার্চ, বছরের এই সময়েই দূষণ মূলত মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সরকারি সূত্রের খবর, শীতের পরিস্থিতি মাপার জন্যই ডিসেম্বরের মধ্যে ওই নতুন যন্ত্রগুলি চালু করে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। অনেকেই বলছেন, দূষণ মাপা যেমন জরুরি, তেমনই দূষণ রোধ করার উপরেও জোর দেওয়া দরকার। সে ব্যাপারে কী ভাবছে পরিবেশ দফতর? বস্তুত, পরিবেশমন্ত্রী এ রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীও।
শুভেন্দুবাবু জানান, দূষণ কমানোর জন্য সিএনজি বাস রাস্তায় নামানো হয়েছে। গত অর্থবর্ষে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমকে এই ধরনের ৩০টি বাস দেওয়া হয়। এ বছর আরও ২০টি বাস দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘দূষণ ঠেকাতে গেলে দলগত প্রচেষ্টা দরকার। প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণকেও সামিল করতে হবে। সবাইকে নিয়ে বনসৃজনেও জোর দেওয়া হবে।’’
মূলত কলকাতায় দূষণের পিছনে যানবাহনকেই দায়ী করা হয়। তবে কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘কোন উৎস থেকে কতটা দূষণ হয়, তা জানার জন্য জাতীয় পরিবেশ প্রযুক্তি গবেষণা সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরে তারা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy