প্রতীকী ছবি।
দেড় মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও গ্রেফতার হয়নি এন্টালির পটারি রোডে গুলিচালনার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নেটো। তবে ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ যুবককে তার সহযোগীরা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশের খাতায় নেটো ফেরার। কিন্তু তার সহযোগীদের মাধ্যমে সে ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে চায়।
মঙ্গলবার এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইন্দ্রজিৎ রায় ওরফে ছোটু নামের ওই যুবক। তাঁর অভিযোগ, গত ২৭ জানুয়ারি এন্টালির পটারি রোডে যান তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সম্পদ নামে নেটোর এক সহযোগী। নেটোর সঙ্গে দেখা না করলে ফল ভাল হবে না বলে সেই সময় তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইন্দ্রজিতের। তাঁর কথায়, ‘‘এক বন্ধুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। দেখি সম্পদ ডাকছে। আমার সামনেই সে একটা ফোন করে। ফোন রেখে বলে, নেটোদা তোর সঙ্গে দেখা করতে চায়, চল। আমি যেতে রাজি না হওয়ায় বলে, গেলি না। এর পরে কিছু হলে জানি না।’’ এর পরেই প্রাণহানির আশঙ্কায় এন্টালি থানায় অভিযোগ করেন ইন্দ্রজিৎ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই গোষ্ঠীর এলাকা দখলদারির লড়াইয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে গুলি চলে এন্টালির পটারি রোডে। প্রায় ১১ রাউন্ড গুলি ছুড়তে ছুড়তে দুষ্কৃতীরা এলাকায় দাপিয়ে বেরিয়েছিল বলে জানা যায়। সে দিন বাড়ির বাইরে আগুন পোহাতে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ইন্দ্রজিৎ।
পুলিশ তাঁকে এন আর এস হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে আর ভয়ে এন্টালির বাড়িতে ফিরতে পারেনি ইন্দ্রজিৎ। এখন বাইপাসের ধারের ধাপা এলাকায় সপরিবার থাকেন তিনি। ওই গুলিচালনার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাপস নস্কর, সুখেন দাস এবং বাবু নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত নেটো এ দিন রাত পর্যন্ত অধরা। এন্টালির বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল নেটো ঘনিষ্ঠ সম্পদেরও। যদিও পুলিশের দাবি, সম্পদকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়নি কারণ এই মামলায় তার যোগ নেই।
এন্টালি থানা সূত্রের খবর, গুলি-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা পড়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। ধৃতেরা প্রত্যেকেই হাজতে। সেই সঙ্গে নেটোর খোঁজে হুলিয়া জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই থানার এক তদন্তকারী অফিসার এ দিন বলেন, ‘‘নেটো দ্রুত ধরা পড়বে। হুলিয়া জারি করা হয়েছে। নেটোকে ধরতে ধৃতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’
এন্টালির স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অবশ্য দাবি, এলাকাতেই রয়েছে নেটো। বেশ কয়েক বার পুলিশ গিয়ে তাকে ধরতে পারেনি। তার বাড়িতে নজরদারির পাশাপাশি নেটোর বাইকও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। ইন্দ্রজিৎ বলছেন, ‘‘গুলিচালনার ঘটনায় আমার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করছে পুলিশ। তাই আমাকে নিশানা করেছে নেটোরা। কেউ পুলিশের কাছে গেলেই ওরা চপার দিয়ে কোপায়। জানি না কী হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy