Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Calcutta News

‘ভর্তি-দুর্নীতি’ বিতর্ক উস্কে দিল ফেসবুক পোস্ট

গত বছর শ্যামবাজার এলাকায় এক ছাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিতে গিয়ে ধরা পড়েন এক যুবক। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তির জন্য লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৮ ০২:১০
Share: Save:

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারবারই বলেছেন রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা ভর্তি হবেন শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে, অনলাইনে। যেখানে কারও কোনও তদ্বির চলবে না। সম্প্রতি চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশিকায় উচ্চশিক্ষা দফতরও বিষয়টি আরও এক বার পরিষ্কার করে দিয়েছে। কিন্তু এর পরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ফের ‘ভর্তি-দুর্নীতি’ বিতর্ক ছড়িয়েছে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্র আল জাভেদ হক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘মৌলানা আজাদ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কটিশ চার্চ, বেথুন-সহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও কলেজে ভর্তির জন্য যোগাযোগ করতে পারো।’’ সঙ্গে নিজের ফোন নম্বরটিও দিয়ে দিয়েছেন তিনি।

রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনলাইনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। কিন্তু তবুও ভর্তি-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বার বার। কলেজে কলেজে টাকার বিনিময়ে ভর্তির অভিযোগ উঠেছে অনেক দিন ধরেই। গত বছর শ্যামবাজার এলাকায় এক ছাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিতে গিয়ে ধরা পড়েন এক যুবক। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তির জন্য লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কলেজের ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, পড়ুয়াদের প্রথমে পাস কোর্সে বা কম চাহিদার অনার্সে ভর্তি করানোর পরে টাকার বিনিময়ে পছন্দ মতো বিষয়ে অনার্স পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভর্তির মরসুম শুরু হওয়া মাত্র আল জাভেদের এমন ফেসবুক পোস্ট ভর্তি-দুর্নীতি বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়েছে বলে শিক্ষা মহলের একাংশের মত।

আল জাভেদ অবশ্য এর মধ্যে কোনও দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। আল জাভেদের বক্তব্য, যে হেতু তাঁর বাড়ি খুবই প্রত্যন্ত অঞ্চলে, তাই সেখান থেকে যাঁরা কলকাতায় পড়তে আসতে চাইছেন তাঁদের ভর্তি প্রক্রিয়া বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি এমন লিখেছেন। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘ওই ছাত্রেরা যাতে ভর্তির বিষয়ে সহজে বুঝতে পারেন তাই সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।’’ তবে আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বলার কিছু পরে আল জাভেদ তাঁর পোস্টটি তুলে নেন।

শুধু আল জাভেদ নন। অভিযোগ, দেবরাজ কোনাই নামে এক যুবক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘কে কে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ভর্তি হতে চাস! ইনবক্সে আয়। নম্বর কোনও ব্যাপার নয়। যে যে অনার্স নিতে চাস তারাও জানাবি। নম্বর নিয়ে কোনও চাপ নেই।’’ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ দিন তিনি জানান, ওই যুবক তাঁর কাছে এসে এ বিষয়ে লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। দেবরাজ এটা লিখে বন্ধুদের এক সঙ্গে ভর্তির আহ্বান জানিয়েছিলেন, তার বেশি কিছু নয় বলে অধ্যক্ষের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE