চুল কাটতে গিয়ে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে বছর সাতেকের মেয়ে। ৪০ দিন আগে এমনই অভিযোগ জানিয়েছিলেন ফুলবাগানের এক মহিলা। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে চার্জশিটও জমা দিয়েছিল। কিন্তু আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে ফেঁসে গেলেন অভিযোগকারিণীই! মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ফুলবাগানের ওই মহিলাকে ২ মাসের কারাবাস এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস।
নিজের মেয়েকে সামনে রেখে যৌন নিগ্রহের মতো অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ করাকে বিরল ঘটনা হিসেবে দেখছেন আইনজীবীদের অনেকে। শিয়ালদহ আদালতের এক প্রবীণ আইনজীবীর মতে, ‘‘এমন মিথ্যা মামলা হওয়া দুর্ভাগ্যজনক।’’
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরে আদালতে ওই মহিলা ও তাঁর শিশুকন্যার গোপন জবানবন্দিও নথিভুক্ত করা হয়। দু’মাসের মধ্যে তদন্তকারী অফিসার চার্জশিট দেওয়ায় অভিযুক্ত জেলেই বন্দি ছিলেন। মঙ্গলবার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আদালত সূত্রের খবর, অভিযোগকারিণীর বক্তব্য ছিল, পেশায় নাপিত, ওই অভিযুক্ত যুবক শিশুকন্যাটির শরীরের নানা জায়গায় হাত দিয়েছে। কিন্তু এ দিন শিশুটি আদালতে জানায়, চুল কাটার সময়ে তার পিঠ চুলকোলে ওই যুবক পিঠে হাত দিয়েছিল। অভিযোগপত্রের সঙ্গে এ দিনের বক্তব্যেও নানা অসঙ্গতি মেলায় সরকারি কৌঁসুলি লিলি কুমার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, অভিযোগ মিথ্যা বলে সন্দেহ হচ্ছে।
বিচারক এর পরে শিশুকন্যার মায়ের কাছে জানতে চান, সত্যি ঘটনা কী? ওই মহিলা জানান, তিনি রাগের বশে ওই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। বিচারক এর পরে আদালতে দেওয়া ওই মহিলার গোপন জবানবন্দি পড়ে শোনান এবং জানতে চান, মহিলা কথাগুলি বলেছিলেন কি না? মহিলা জানান, তিনি ওই জবানবন্দিই দিয়েছিলেন। এর পরেই সরকারি কৌঁসুলি লিলি কুমার
আদালতের কাছে আর্জি জানান, মিথ্যা অভিযোগ জানানোর জন্য মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিচারক সেই আর্জি মেনে মহিলাকে হেফাজতে নেন এবং জানান, ২ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাঁকে। ৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও হয়। মহিলাকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy