দক্ষিণ দমদমের অমরপল্লিতে প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অনমিত্র বসুকে তাঁরই ফ্ল্যাটের ভিতরে ১০ দিন ধরে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করেছিলেন নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সোমবার হাসপাতালে গিয়ে পড়শিরা দেখেন, অনমিত্র সেখানে নেই!
হাসপাতাল জানায়, তাঁর অবস্থা খতিয়ে দেখার পরে ওই রোগীকে দক্ষিণ কলকাতায় ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দারা সেই হাসপাতালে খোঁজ নিতে গেলে প্রথমে জানানো হয়, অনমিত্র বসু নামে কোনও রোগী সেখানে নেই। পুলিশ খোঁজখবর শুরু করতেই অবশ্য জানা যায়, বাইপাসের ওই হাসপাতালেই অনমিত্র রয়েছেন। পড়শিদের প্রশ্ন, তাঁদের না জানিয়ে নাগেরবাজারের হাসপাতাল স্থানান্তরিত করল কেন? যে হাসপাতালে তাঁকে পাঠানো হয়েছে, তার বিল কে এবং কী ভাবে মেটাবে?
অমরপল্লির বাসিন্দা রাজু সরকার জানান, নাগেরবাজারের হাসপাতালে অনমিত্রকে সাধারণ শয্যায় ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, তাঁর নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস ধরা পড়েছে। বুকের দু’টি হাড় ভেঙেছে। তাই তাঁকে আইটিইউ-তে পাঠানো হচ্ছে। চিকিৎসকেরা অনমিত্রকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে বলেছিলেন। রাজুবাবুর দাবি, তাঁরা বলেছিলেন, সোমবার কথা হবে। কিন্তু তার আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই কী ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য হাসপাতালে পাঠালেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না রাজুবাবুরা। কোথা থেকে ওই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিল মেটানো হবে, তা-ও কেউ জানে না। নাগেরবাজারের ওই হাসপাতালের সিইও নিবেদিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভর্তির পরে সিটি স্ক্যান-সহ কয়েকটি পরীক্ষা করাবেন না বলে অনমিত্রবাবু লিখিত ভাবে জানান। কাল থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রাজু সরকার বলে যাঁর ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তাঁকে ওই নম্বরে পাওয়া যায়নি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোগীর অনুমতি নিয়েই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়।’’ বাইপাসের ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনমিত্রকে ভর্তি করা হয়। কিছু লোকজন তাঁকে বন্ড দিয়ে ভর্তি করান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy