ফাইল চিত্র।
সদ্যোজাত সন্তানের মুখ দেখতে হলে টাকা দিতে হবে। ছেলে হলে ৭০০ টাকা, মেয়ে হলে ৫০০। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই আয়া ও এক নিরাপত্তারক্ষীর এমন কথা শুনে প্রথমে হকচকিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থেকে আসা একটি পরিবার। কিন্তু মরিয়া পরিজনেরা প্রথমে টাকা দিয়েই সদ্যোজাতকে দেখেন। তার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
গোসাবার ওই পরিবারের এক সদস্য অঞ্জনা মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ হাসপাতালের দুই আয়া কমলা দলুই ও দেবশ্রী নস্কর এবং নিরাপত্তারক্ষী মিঠু ঘোষকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অঞ্জনাদেবীর অভিযোগ, তাঁরা এক জন আয়াকে ৭০০ টাকা দেন। নিরাপত্তারক্ষীকে দেন ৫০০ টাকা।
ঘটনাচক্রে, এ দিনই দুপুরে হাসপাতালে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন। অনুষ্ঠানের শেষে শান্তনুবাবু ও হাসপাতালের সুপারের সামনে এসে দুই আয়া ও নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন অঞ্জনাদেবী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েই স্ত্রী-রোগ বিভাগে গিয়ে তিন অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগেও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে আয়ার বিরুদ্ধে ‘জুলুমবাজির’ অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। সুপার সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘এ বিষয়ে অন্যদের সচেতন করার জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় বোর্ড লাগানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy