দুর্ঘটনার পর ভেঙে তছনছ করা হয়েছে বাস। নিজস্ব চিত্র
লরির ধাক্কায় বাইক আরোহী শিশুকন্যা ও বাবার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গার্ডেনরিচের ইমামবড়া এলাকা। দুর্ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী পরপর বাস, লরি ও গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পাল্টা এলাকাবাসীর ছোড়া পাথরে আহত হয়েছেন এক পুলিশকর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছরের মেয়ে মেন্হা আলি ও স্ত্রী নিগাহ্ সুলতানাকে (৩০) নিয়ে সোমবার রাজাবাগানে আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন তিলজলা রোডের বাসিন্দা মহম্মদ আফরোজ আলি (৪০)। রাত দশটা নাগাদ বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। গার্ডেনরিচের ইমামবড়ার কাছে আসতেই একটি লরি তাঁদের বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবা ও মেয়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নিগাহ সুলতানাকে।
ঘটনার পরই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে প্রথমে রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধে আটকে পড়া গাড়িগুলিতে শুরু হয় যথেচ্ছ ভাঙচুর। বাস, লরি, ছোট গাড়ি মিলিয়ে অন্তত ১৫টি গাড়ি ভেঙে চুরমার করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি ছোট গাড়িতে। গোটা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে ‘গণধর্ষণে’ পাকড়াও ৩
আরও পড়ুন: ফুটেজ দেখে চুরি ও ছিনতাইয়ের কিনারা
খবর পেয়ে গার্ডেনরিচ থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। বাহিনী নিয়ে পৌঁছে যান ডিসি বন্দর সৈয়দ ওয়াকার রাজাও। কিন্তু উত্তেজিত জনতা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। বাধ্য হয়ে কিছুক্ষণ পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। অগ্নিসংযোগ করা গাড়িটির আগুন নেভায় দমকল। তারপরেও রাতভর পুলিশ মোতায়েন করা ছিল এলাকায়। গভীর রাতের দিকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy