প্রতীকী ছবি।
রাস্তায় দাঁড়ানো গাড়ির সামনের কাচ ভাঙা। গাড়ির গায়ে জমাট বাঁধা রক্ত। ভিতরের সিটেও রক্তের ছোপ। কে গাড়ির মালিক কেউ জানেন না। এমনই একটি গাড়ি নিয়েই উত্তেজনা ছড়াল মঙ্গলবার, লেক প্লেস এলাকায়। পরে অবশ্য সে গাড়ির রহস্য উদ্ঘাটন হয়। জানা যায়, পাটুলি লিঙ্ক রোডে বচসার জেরেই ওই গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়। গাড়ির যাত্রীদেরও মারধরও করা হয়। ওই ঘটনায় তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ বারুইপুরের এক অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে মহেশতলায় নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন দীপ্তজিৎ শিকদার ও তাঁর ভাই রাজ গঙ্গোপাধ্যায়। পাটুলি কানেক্টরের কাছে পৌঁছতেই অন্য একটি গাড়ি এসে তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মারে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন দীপ্তজিৎ। তা নিয়ে ওই গা়ড়ির যাত্রীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় দীপ্তজিৎদের। অভিযোগ, ওই গাড়ির লোকজন এসে চড়াও হন দীপ্তজিৎ ও রাজের উপরে। দু’জনকে মারধরের পাশাপাশি তাঁদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ১৫ মিনিট এরকম তাণ্ডব চালানোর পরে অভযুক্তেরা গাড়ি-সহ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তবে এলাকা ছাড়ার আগে তাঁদের দু’জনকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন দীপ্তজিতেরা।
দীপ্তজিৎ জানান, এর পরে রক্তাক্ত অবস্থায় লেক প্লেসে এক আত্মীয়কে ফোন করে তাঁরা জানান, গাড়িটা ওখানে আপাতত রাখতে চান। ওই আত্মীয় হায়দরাবাদে থাকেন। তিনি সম্মতি জানানোয়, গাড়ি রেখে দীপ্তজিতেরা পাটুলি থানায় গিয়ে গাড়িটির নম্বর জানিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় গাড়িচালক ও যাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, দীপ্তজিতদের যে মারধর করা হয়েছিল, সেই রক্তের দাগই লেগেছিল গাড়িতে। তবে এ দিন সকালে ও ভাবে গাড়ির কাচ ভাঙা, সঙ্গে রক্তের ছোপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এখনও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গাড়ির নম্বর ধরে তদন্ত করে জানা গিয়েছে, গাড়িটি যে ঠিকানায় নথিভুক্ত তার আদৌ কোনও অস্তিত্বই নেই। লালবাজারের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy