Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Fire

প্লাস্টিকের গুদামে আগুন, আতঙ্ক

এ দিন ভোরে আগুন দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সকলেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১২
Share: Save:

আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল প্লাস্টিকের গুদাম। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ই এম বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুর থানা এলাকার চৌবাগায়। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুদাম লাগোয়া কয়েকটি বাড়িও। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ প্লাস্টিক এবং দাহ্য পদার্থে ঠাসা দোতলার ওই গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। প্রথমে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। পরে আসে আরও ১১টি ইঞ্জিন। প্রায় ছ’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ ও দমকলের বক্তব্য, ওই গুদামে অগ্নি-নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। আগুন লাগার ফলে তিনতলা ওই বাড়িটির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিন আগুনের আতঙ্কে এলাকার লোকজন বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি ভাঙতে কলকাতা পুরসভাকে খবর পাঠানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা ঘটনাস্থল পরীক্ষা করার পরে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা বাড়ি ভাঙার কাজে হাত দেবেন।

এ দিন ভোরে আগুন দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সকলেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। প্রথমে তাঁরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পরে খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকল এসে ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও তা পুরো নিভতে সকাল সাড়ে দশটা বেজে যায়। খবর পেয়ে এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, ‘‘প্রচুর দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গুদামে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার লাইসেন্স ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, গুদামের মালিক তিলজলা এলাকার বাসিন্দা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fire Plastic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE