Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

এত অনিয়ম কেন, প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ মেয়রের

মেয়রকে জানানো হয়, ক্যানাল ইস্ট এবং ক্যানাল ওয়েস্ট রোড-সহ কলকাতা স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়া খালপাড় পুরোটাই দখল হয়ে গিয়েছে। তাতে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৩৮
Share: Save:

নাগরিক পরিষেবায় ঘাটতি পূরণই পুর প্রশাসনিক বৈঠকের মূল লক্ষ্য। পাকাপাকি ভাবে সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোয় প্রশাসনিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু শনিবার তিন নম্বর বরোয় প্রশাসনিক বৈঠকে নাগরিক পরিষেবার চেয়েও বড় হয়ে উঠল ওই এলাকার অবৈধ নির্মাণ, অবৈধ পার্কিং এবং খালপাড় দখলদারির বিষয়টি। এত রকম বেআইনি কারবারের অভিযোগ পেয়ে বিরক্ত মেয়র বরো প্রশাসনকে বলেন, ‘‘কড়া হোন। এ সব করতে দেবেন না।’’ তিনি জানান, খালপাড় থেকে দখলদারদের সরিয়ে সেখানে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। পুলিশ, পুরসভা ও সেচ দফতর যৌথ ভাবে ওই অভিযান চালাবে।

মেয়রকে জানানো হয়, ক্যানাল ইস্ট এবং ক্যানাল ওয়েস্ট রোড-সহ কলকাতা স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়া খালপাড় পুরোটাই দখল হয়ে গিয়েছে। তাতে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। খালপাড়ে কোথাও সার দিয়ে দাঁড় করানো থাকে নামী-দামি গাড়ি। কেউ বা খালের ধারে লোহালক্কড় ও প্লাস্টিকের গুদাম-সহ নানা ধরনের ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। সে সবের ছবিও দেখানো হয় মেয়রকে। ওই বরোর ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়েও অভিযোগ ওঠে। পুর কমিশনার খলিল আহমেদও জানান, বেলেঘাটা এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ হোয়াট্সঅ্যাপেও এসেছে। সেগুলি তিনি পাঠিয়েছেন মেয়রকেও। একাধিক কাউন্সিলরের অভিযোগ, পুলিশকে বলেও লাভ হয়নি। পুরসভার এক শ্রেণির কর্মী ও রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশ নিয়েও অভিযোগ ওঠে। সব শুনে মেয়র বিল্ডিং দফতরের কর্মীদের বলেন, ‘‘যেখানে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে, সেখানে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ও অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কারা রয়েছেন, তার তালিকা তৈরি করুন। কেন বেআইনি নির্মাণ হল, তা দেখতে হবে। ওঁরা কী করছিলেন? থানা থেকেও খবর নিন।’’

বৈঠকে মেয়রকে জানানো হয়, এমন লোকজনও আছেন, যাঁরা ব্যবসা করেন বড়বাজারে, কিন্তু গাড়ি রাখছেন খালপাড়ে। কেউ বা সেখানে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। মেয়র বলেন, ‘‘পরিবেশের কথা ভেবে খালপাড় পরিষ্কার করা হবে।’’ তিনি জানান, পুরসভা সবুজায়নের জন্য জায়গা খুঁজছে। খালপাড় তার পক্ষে উপযুক্ত। দখলদারদের মধ্যে কিছু গরিব মানুষ রয়েছেন। পুজোর আগে তাঁদের সরানো কি সম্ভব হবে? মেয়র জানান, প্রথমে অবৈধ পার্কিং এবং ব্যবসায়ীদের সরানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE