প্রতীকী ছবি।
কলকাতার পুর আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা বেআইনি বাড়ি ও কাঠামো নিয়ে একের পর এক অভিযোগ আসছে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে। বুধবার সরাসরি মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করে কলকাতা পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানান, এ পি সি রোডে একটি বেআইনি বাড়ি হচ্ছে। কারও নজরে যাতে না পড়ে, সে জন্য রাতে ঢালাইয়ের কাজ হয়েছে। যা শুনে মেয়র তাঁকে আশ্বস্ত করে জানান, পুর প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এর পরে বিল্ডিং বিভাগের ডিজি-কে তিনি নির্দেশ দেন, ওই এলাকা দেখভালের দায়িত্ব যে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের, তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হোক, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কি না। না হলে ওই ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ় করতে বলেন মেয়র।
উল্টোডাঙার কাছে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার অভিযোগ, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে পুরসভার মিউটেশন দফতর। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জবাবে মেয়র তাঁকে আরও নির্দিষ্ট করে অভিযোগ জানাতে বলেন। তখন ওই ব্যক্তি জানান, মিউটেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তখন তাঁকে জানানো হয়, ভোটার কার্ড ও প্যান কার্ড লাগবে। অথচ, মিউটেশনের যে নিয়ম রয়েছে, তাতে কোথাও সে কথা লেখা নেই। সেটা মিউটেশন দফতর মানেনি। তাই আটকে রয়েছে মিউটেশন পর্ব। মেয়র তাঁর ঠিকানা জানতে চান। তখন ওই ব্যক্তি মেয়রকে বলেন, ‘‘ভয় পাচ্ছি, নাম বললে আমার কাজটাই হবে না।’’ এই কথায় অস্বস্তিতে পড়ে যান মেয়র-সহ শীর্ষ অফিসারেরা। যদিও মেয়র তাঁকে অভয় দিয়ে বলেন, ‘‘আপনার কাজ করে দেওয়ার দায়িত্ব আমার। ঠিকানাটা বলুন।’’ ওই ব্যক্তি ঠিকানা জানান। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
মনোহরপুকুর রোডের একটি বাড়ির মালিকের বক্তব্য, ‘‘আমার বাড়ির পাশে দু’বছর ধরে একটি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু পুর নিয়ম মেনে কোনও জায়গা ছাড়া হয়নি।’’ মেয়র বিল্ডিং দফতরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নির্মাণস্থল পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy