Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

কেএমডিএ-র জমি পাঁচিলে ঘেরার দাওয়াই মন্ত্রীর

পুরমন্ত্রীর কথায়, ‘‘সল্টলেক, কেএমডিএ এবং কেআইটি-র হাতে সব মিলিয়ে কয়েকশো ‘প্লট’ রয়েছে। কিন্তু অনেক জমিই কাগজে-কলমে রয়েছে। বাস্তবে সেই সব জমি বেদখল হয়ে রয়েছে। ইদানীং ফাঁকা জমি দখলের ঘটনাও নজরে এসেছে। ফলে জমি ঘিরে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।’’

সরকারি জমি দখলমুক্ত করার দাওয়াই দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সরকারি জমি দখলমুক্ত করার দাওয়াই দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০২
Share: Save:

দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি জমি। রাজস্ব হারাচ্ছে পুর দফতর। আটকে যাচ্ছে বহু উন্নয়নের প্রকল্পও। এ সব রুখতে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) এবং সল্টলেকের সব সরকারি জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য যে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ হবে তা-ও বরাদ্দ করবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। গত ৮ অগস্ট পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করেছেন।

পুরমন্ত্রীর কথায়, ‘‘সল্টলেক, কেএমডিএ এবং কেআইটি-র হাতে সব মিলিয়ে কয়েকশো ‘প্লট’ রয়েছে। কিন্তু অনেক জমিই কাগজে-কলমে রয়েছে। বাস্তবে সেই সব জমি বেদখল হয়ে রয়েছে। ইদানীং ফাঁকা জমি দখলের ঘটনাও নজরে এসেছে। ফলে জমি ঘিরে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।’’

পুর দফতর সূত্রের খবর, সাবেক কেআইটি এলাকায় ১১৮টি জমি রয়েছে। কেএমডিএ এলাকায় কত জমি রয়েছে তার জন্য সমীক্ষা চলছে। সব মিলিয়ে আরও কয়েকশো জমির হদিস পাওয়া যেতে পারে। সল্টলেকে নগরোন্নয়ন দফতরেরও বেশ কিছু জমি উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।

এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘জমিগুলি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে একটি জমি-ব্যাঙ্ক তৈরি করা হবে। নতুন করে বাজার মূল্যও নির্ধারণ করা হবে। কলকাতা পুরসভার সম্পত্তি তালিকাও নতুন করে পরিমার্জন করা হবে। কারণ, পুরসভার বহু সম্পত্তির এখনও হদিস নেই।’’

সরকার কেন পাঁচিলের পরিকল্পনা করল? পুর দফতর জানাচ্ছে, কেএমডিএ-র হাতে আর বেশি জমি নেই। তাই ভবিষ্যতে জমির প্রয়োজন হলে বেদখল হওয়া জমিই ভরসা। আর তা সরকারের হাতে রাখতেই পাঁচিল দিতে হচ্ছে। আর্থিক সঙ্কটের সময়ে কেএমডিএ-র জমি বিক্রি করেই রোজগার হতে পারে। কিন্তু সরকার জানে না, কোথায়, কী পরিমাণ জমি রয়েছে।

পুরকর্তাদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, ২০১১ সালের সরকার পরিবর্তনের পরে পুর দফতর নতুন করে কোনও জমি অধিগ্রহণ করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বে জমি অধিগ্রহণও সম্ভব নয়। উল্টে সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। কারণ, বর্তমান সরকার উচ্ছেদ করার পক্ষে নয়। এমন অবস্থায় এখন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের হাতে জমি রাখতে পাঁচিল দেওয়াই একমাত্র পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

LAnd Government Wall Firhad Hakim KMDA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE