প্রতীকী ছবি।
দশমীর সকালে কুয়াশায় ঢেকে গেল শহরের আকাশ। যার ফলে কলকাতায় এসেও নামতে না পেরে অন্য শহরে উড়ে গেল দুই বিমান। কলকাতা থেকে দেরিতে ছাড়ল প্রচুর উড়ান। কলকাতায় দেরিতে এসে পৌঁছলেন যাত্রীরা। দু’টি উড়ান বাতিলও করতে হয়।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, শুক্রবার, দশমীর দিন সকাল ৬টার পর থেকেই আকাশ অন্ধকার হয়ে যায়। কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা ১০০ মিটারেরও নীচে নেমে যায়।
কলকাতার মাথায় এসেও নামতে না পেরে চক্কর কাটতে শুরু করে বেশ কয়েকটি বিমান। তার মধ্যে দিল্লি থেকে আসা একটি বিমান সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ খানিকক্ষণ চক্কর কেটে ভুবনেশ্বরে উড়ে যায়। ভুবনেশ্বর থেকে আসা একটি বিমান পৌনে সাতটা নাগাদ কলকাতার মাথায় এসে আবার ফিরে যায় ভুবনেশ্বরে। ব্যাঙ্কক থেকে আসা একটি বিমান শহরের মাথায় প্রথম বার নামতে না পেরে ঘুরে যায়। পরে ফিরে এসে সওয়া সাতটা নাগাদ নামে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কুয়াশার সময়ে বিরাটির দিকে প্রধান রানওয়েটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। সে দিকেই বিমান নামার জন্য আধুনিক ক্যাট-থ্রি আইএলএস (ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম) যন্ত্র রয়েছে। সেখানে ১৫০ মিটার দৃশ্যমানতাতেও বিমান নেমে আসতে পারে। কিন্তু এ দিন এক সময়ে তার থেকেও কমে যায় দৃশ্যমানতা। শুধু রানওয়েতে নয়, বিমানেও এই ক্যাট-থ্রি আইএলএস যন্ত্র থাকলে তবেই ঘন কুয়াশায় বিমান নেমে আসতে পারে। এখন বেশির ভাগ বিমানেই সেই যন্ত্র থাকে। কিন্তু অনেক পাইলটের সেই প্রশিক্ষণ থাকে না। ফলে বিমানবন্দর এবং বিমানে যন্ত্র থাকলেও পাইলটের প্রশিক্ষণ না থাকায় ব্যবহার করা যায় না সেই ক্যাট-থ্রি আইএলএস ব্যবস্থা।
কুয়াশার কারণে কলকাতা থেকে সকালে বেশ কিছু উড়ান দেরিতে ছেড়েছে। গুয়াহাটিগামী একটি উড়ান সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের জায়গায় সাড়ে ন’টায় ছেড়েছে। আর একটি বিমানের দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে যাত্রীদের নিয়ে গুয়াহাটি যাওয়ার কথা ছিল। সেটি কলকাতার কুয়াশার খবর পেয়ে মাঝপথ থেকেই রাঁচী চলে যায়। তা ছাড়া দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরের উড়ান প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক করে দেরিতে ছাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy