পাটুলির এই ভাসমান বাজারে এ বার হবে রেস্তরাঁ। ফাইল চিত্র
ভাসমান বাজারের পরে এ বার শহর পাচ্ছে ভাসমান রেস্তরাঁ।
সূত্রের খবর, পাটুলিতে যে জায়গায় ভাসমান বাজার রয়েছে, সেখানেই এ বার রেস্তরাঁ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কেএমডিএ। যদিও এ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অনেকে বলছেন, এর জেরে পরিবেশ দূষিত হতে পারে। নিউ টাউনের ইকো পার্কে এমনই এক প্রকল্পের উদাহরণ দিয়ে কেএমডিএ-র কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, রেস্তরাঁর বর্জ্য জলে ফেলার প্রশ্নই নেই। এমনকি খাবারও ওই জলের উপরে তৈরি করা হবে না বলেও কেএমডিএ-র দাবি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাটুলির ভাসমান বাজারের একাংশে তৈরি করা হবে ওই রেস্তরাঁ। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য প্রকল্প রিপোর্টও তৈরি করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। বছর দেড়েক আগে তৈরি পাটুলির ভাসমান বাজারে নৌকো ডুবে যাওয়ার ফলে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এর পরেই অবশ্য ডুবন্ত নৌকোগুলিকে সারিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, ওই জলাশয়ের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও বাড়তি রাজস্ব নেই। এমনকি যাঁরা ওখানে রয়েছেন তাঁদের কাছ থেকেও রাজ্য সরকার কোনও অর্থ নেয় না। এই পরিস্থিতিতে ওই জায়গায় বাণিজ্যিক কোনও প্রকল্প বাস্তাবায়িত করার কথা ভাবা হয়েছে। পরিবেশ দফতর এবং দমকলের সঙ্গেও ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আধিকরিকেরা জানান।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক ভাবে যে সমীক্ষা হয়েছে তাতে ভাসমান বাজারের একাংশে রেস্তরাঁ অত্যন্ত লাভজনক প্রস্তাব। যাঁরা ওই বাজারে আসবেন তাঁরা তো ওই রেস্তরাঁ থেকে খাবার কিনতে পারবেন। তা ছাড়াও বাইরে থেকে যাঁরা ওই জায়গা ঘুরতে আসেন, তাঁরাও ওই রেস্তরাঁ ব্যবহার করতে পারবেন। জলের মধ্যেই বার্জ বা নৌকো রেখে সেটিকে সুদৃশ্য ভাবে সাজিয়ে সেখানেই তৈরি করা হবে ওই রেস্তরাঁ। জলের উপর দিয়ে রেস্তরাঁয় যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। তবে একসঙ্গে অনেকে প্রবেশ করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি নিষেধাজ্ঞা থাকবে। বাইরের কোনও সংস্থাকে ওই রেস্তরাঁর বরাত দেওয়া হবে বলেও কেএমডিএ-র প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই পাটুলির জলাশয়ের জলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখানে রেস্তরাঁ তৈরি করলে বর্জ্য পদার্থ জলে মিশলে দুষণের সম্ভাবনা থেকেই যায়। পরিবেশবিদদের একাংশ জানান এমনিতেই ওই জলাশয়ের জলের অবস্থা ভালো নয়। তার পরে ওই জায়গায় রেস্তরাঁ তৈরি হলে সেখানে আরও দূষণ বাড়তে পারে। তাঁদের মতে, ওই ধরনের রেস্তরাঁর জন্য ছোট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জলের দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করা হয়েছে। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির কথাও ভাবছে কেএমডিএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy