Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

যুবককে খুনেও কি ভরতের বাহিনী

জুন মাসে ভবানীপুরের একটি বাড়িতে তোলা চাইতে গিয়ে ধরা পড়ে তিন জন। তদন্তকারীদের অভিযোগ, ওই তিন জনই ভরতের দলের। সম্প্রতি ভবানীপুর, টালিগঞ্জ, চেতলা ও লেক থানা এলাকায় যে সব ছিনতাই ঘটেছে, সেগুলিতেও ভরত-বাহিনী যুক্ত বলে সন্দেহ পুলিশের।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০৩:১২
Share: Save:

সোমবার তৃণমূলের সাংসদ সুগত বসুর বাড়ি গিয়ে হুমকির ঘটনাই নয়, জুন মাসে ভবানীপুরে তোলাবাজি এবং গত বছর ম্যাডক্স স্কোয়ারে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনাতেও ভরত জানার দলবলের হাত রয়েছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের।

লালবাজারের অভিযোগ, পেয়ারাবাগান বস্তি এবং আশপাশের এলাকার যুবকদের নিয়ে একটি বাহিনী তৈরি করেছিল ভরত। তৃণমূলের মিটিং-মিছিলে যাওয়ার পাশাপাশি ওই বাহিনী বাইকে চেপে চষে বেড়াত ভবানীপুর এলাকা। কোথাও নির্মাণকাজ শুরু হলেই হানা দিত। পুলিশের অভিযোগ, তোলাবাজির সঙ্গে ছিনতাইয়ের বেশ কয়েকটি ঘটনাতেও ভরত-বাহিনীর নাম জড়িয়েছে।

জুন মাসে ভবানীপুরের একটি বাড়িতে তোলা চাইতে গিয়ে ধরা পড়ে তিন জন। তদন্তকারীদের অভিযোগ, ওই তিন জনই ভরতের দলের। সম্প্রতি ভবানীপুর, টালিগঞ্জ, চেতলা ও লেক থানা এলাকায় যে সব ছিনতাই ঘটেছে, সেগুলিতেও ভরত-বাহিনী যুক্ত বলে সন্দেহ পুলিশের।

গত বছর ম্যাডক্স স্কোয়ারের কাছে এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছিল একদল দুষ্কৃতী। ঘটনায় ভরত-বাহিনী যুক্ত ছিল বলেই তদন্তে জানতে পেরেছিল পুলিশ। কিন্তু তার পরেও ওই বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

সুগতবাবুর বাড়িতে তোলা চাইতে যাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কিংবা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ভরতের নাম কোথাও লেখা হয়নি। তবু পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে লালবাজারের দাবি। সেই সঙ্গে এলাকার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।

বুধবার ভরতের পাড়া বেলতলায় গিয়ে তার দেখা মেলেনি। সে কোথায়, জানাতে পারেননি তাঁর পরিবারও। তবে ভরতের এক ঘনিষ্ঠের দাবি, ‘‘ওকে শুধু শুধু জড়ানো হচ্ছে।’’ পুলিশি হেনস্থা এড়াতে ভরতকে আত্মগোপন করে থাকতে বলা হয়েছে বলেই ওই ভরত-ঘনিষ্ঠের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE