অভিযুক্ত অমিত ও অর্চনা। নিজস্ব চিত্র।
বয়সে ১০ বছরের বড় বান্ধবীর গয়নার শখ। অথচ ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করে সেই শখ মেটানো সম্ভব ছিল না যুবকের। শেষ পর্যন্ত বান্ধবীকে খুশি করতে প্রাক্তন শিক্ষকের স্ত্রীর গয়না চুরি করল সে। যদিও পুলিশের জালে ধরা পড়ল কীর্তিমান ওই ছাত্র। সঙ্গে তার বান্ধবীর কাছ থেকে উদ্ধার হল চোরাই গয়না।
গত ১৬ নভেম্বর রিজেন্ট পার্ক থানায় চুরির অভিযোগ জানান কুঁদঘাটের স্যর নৃপেন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ৬২ বছরের কাজল কুমার সিনহা। তিনি তাঁর অভিযোগে জানিয়েছিলেন, ১৪ তারিখ আলমারি খুলে তাঁর স্ত্রী দেখেন সমস্ত গয়নার বাক্স ফাঁকা। খোয়া গিয়েছে ১৬০ গ্রাম সোনার গয়না। যার দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। অথচ তার আগের দিনও সেখানে গয়না ছিল।
তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে আলমারি খুলেই গয়না চুরি করে হয়েছে। কোনও ভাবে তালা ভাঙা হয়নি। সেখান থেকে প্রথম দিকে তদন্তকারীরা বাড়ির পরিচারিকাকে সন্দেহ করছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে কোনও সূত্র উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। কাজলবাবুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন চুরির আগে বাইরের লোক বলতে শুধু এসেছিলেন তাঁর এক প্রাক্তন ছাত্র।
আরও পড়ুন: এই কাঁকড়ার এক লিটার রক্তের দাম ১১ লক্ষ টাকা, কেন জানেন?
অমিত মজুমদার নামে ওই ছাত্রের সঙ্গে অবসরের পরেও যোগাযোগ ছিল কাজলবাবুর। তিনি বলেন, “অমিত পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান। বাড়িতে কোনও কাজ থাকলে ওকেই ডাকতাম। কালীপুজোর আগেও অমিত এসে কাজ করেছিল।”
আরও পড়ুন: স্নাতক বৃদ্ধা ভিক্ষা করেন হাওড়া স্টেশনে, আগলে রেখেছেন হকার ‘ছেলে’রা
পুলিশ এর পর অমিতকে জেরা করতে শুরু করে। টানা জেরায় সে স্বীকার করে গয়না চুরির কথা। তদন্তাকারীরা বলেন, জেরায় অমিতের কাছ থেকে অর্চনা মল্লিক নামে বেহালার এক বিবাহিত মহিলার হদিশ মেলে। অর্চনার বাড়িতে তল্লাশি করেই মেলে চোরাই গয়না।
ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অমিতের সঙ্গে অর্চনার সম্পর্ক ছিল। অর্চনার গয়নার শখ মেটাতেই শিক্ষকের বাড়ি থেকে গয়না চুরি করে সে। কাজের ফাঁকে চাবি হাতিয়ে খুলে ফেলে আলমারি। তার পর গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশ অমিত এবং অর্চনা দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে।
কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy