—প্রতীকী ছবি
নিউ টাউনের রাস্তায় শাটল গাড়িতে উঠে ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এক কর্মী ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘দয়া করে একা থাকলে শাটলে উঠবেন না’! মাসখানেক আগের সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে নিউ টাউনের কোল ভবন এলাকা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম পার্থ দে, রূপক দে, দেবাশিস দে এবং অনিল হালদার।
সুমিত ঘোষাল নামে ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী বুধবার জানান, তিনি নিউ টাউন থানা এলাকার নারকেলবাগানে একটি কো-অপারেটিভ আবাসনে থাকেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি যখন নবদিগন্ত এলাকার মহিষবাথান সিগন্যালে বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন, তখন সাদা রঙের একটি গাড়ি সামনে দাঁড়ায়। গাড়ির মধ্যে চালকের পাশে এক জন এবং পিছনের আসনে দু’জন বসেছিল। নারকেলবাগান মোড়ে নামিয়ে দেওয়ার জন্য চালক কুড়ি টাকা চাইলে সুমিত রাজি হয়ে যান। সুমিত জানান, নিউ টাউন বাসস্টপ পেরিয়ে গাড়িটি সেতুর উপরে উঠলে পাশের ছেলেটি তাঁর কাঁধে হাত দেয় এবং একটি ভারী বালা দেখিয়ে বলে, ‘যা আছে দিয়ে দে। না হলে প্রাণে মেরে দেব’।
এর পরে সেতু থেকে নেমে বাঁ দিকের ফাঁকা রাস্তায় ঢুকে পড়ে গাড়ি। অন্ধকার রাস্তায় প্রায় কুড়ি মিনিট চক্কর কাটে গাড়িটি। সুমিতের দু’টি মোবাইল, টাকা, হাতঘড়ি কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। পুজো উপলক্ষে কেনা চার হাজার টাকার নতুন পোশাকও নিয়ে নেয়। এর পরে চলন্ত গাড়ি থেকে সুমিতকে নেমে যেতে বলে তারা। সুমিত রাজি না হলে নারকেলবাগান মোড়ে সুনসান সার্ভিস রোডে তাঁকে নামিয়ে দেওয়ার সময়ে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ঘষে দেয়। সুমিত বলেন, “চোখ অসম্ভব জ্বালা করছিল। কোনও মতে দেখি, কাছে একটি রেস্তরাঁ রয়েছে।” নিউ টাউন মেলা প্রাঙ্গণের পাশে সেই রেস্তোরাঁ থেকে জল চেয়ে চোখেমুখে দেন এবং রাতেই থানায় যান। এ দিন তিনি বলেন, “পরে জেনেছি, গত কয়েক মাসে নারকেলবাগান এলাকায় আরও তিন-চার জনের সঙ্গে এরকম ঘটেছে। রাতে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা অনেকেই শাটল ধরেন।’’
বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের খোঁজে কিছু দিন ধরে সক্রিয় ছিল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে কোল ভবনের কাছে অভিযুক্তেরা ফের জড়ো হয়েছে জানতে পেরে তাদের ধরে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে পার্থ বেলেঘাটা এবং রূপক, দেবাশিস ও অনিল ফুলবাগানের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, টিআই প্যারেডে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy