ছবি পিটিআই।
মাঝেরহাটের সেতুভঙ্গের পরে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন নিয়ে চিন্তায় পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
গঙ্গাসাগর মেলার পুণ্যার্থীদের যাওয়া-আসার মূল রাস্তাই ডায়মন্ড হারবার রোড। এই রাস্তাতেই পড়ে মাঝেরহাট সেতু। মেলা শুরু হতে প্রায় চার মাস বাকি। কিন্তু প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর পরই মেলার প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়ে থাকে।
জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ‘‘এখনও কোনও বিকল্প পথের সন্ধান মেলেনি। গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে চলতি সপ্তাহে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’
মেলায় বহু পুণ্যার্থী ভিন্ রাজ্য থেকে আসেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা বাস ভাড়া করে কলকাতার বাবুঘাটে এসে ওঠেন। তার পর কলকাতা ও জেলা পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী গঙ্গাসাগর পৌঁছন। মেলার তিন দিনে প্রায় তিন লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। ওই পুণ্যার্থীর প্রায় আশি শতাংশই ডায়মন্ড হারবার রোড দিয়ে সড়কপথে কাকদ্বীপ আসেন। পরে কাকদ্বীপের লট-৮ ঘাট দিয়ে গঙ্গাসাগরে পৌঁছন। রেলপথেও গঙ্গাসাগরে যাওয়া যায়। নামখানা এবং ডায়মন্ড হারবার স্টেশন থেকে গঙ্গাসাগর পৌঁছনোর ব্যবস্থা রয়েছে।
মেলার সময়ে রেল দফতর এই রুটে কয়েকটি বিশেষ ট্রেন চালায়। কিন্তু মোট পুণ্যার্থীর মাত্র ১০ শতাংশ রেলপথে যাওয়া-আসা করতে পারেন বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, যদি এ বছর রেল দফতর বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়েও দেয়, তা হলেও সমস্যার সমাধান হওয়ার সম্ভবনা কম। তাতে হয়তো কয়েক হাজার পুণ্যার্থী বেশি যাতায়াত করতে পারবেন।
এই অবস্থায় বিকল্প পথ কী হতে পারে?
জেলার পুলিশ কর্তাদের কথায়, এখন বাবুঘাট থেকে ইএম বাইপাস হয়ে কামালগাজি এসে বারুইপুর বাইপাস ধরে ডায়মন্ড হারবার পৌঁছনো যেতে পারে। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ইএম বাইপাসে যানজট বেড়েছে। পুণ্যার্থীদের বাস ইএম বাইপাস দিয়ে চালাতে গেলে ওই রাস্তা পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy