জার্মান কনসাল জেনারেল মাইকেল ফেইনার। ছবি: জার্মান কনসুলেটের ওয়েবসাইটের সৌজন্যে।
ইমেল জাল করে প্রতারণা খোদ জার্মান কনসাল জেনারেলকেই। ক’দিন আগেই একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে একটি গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখেন ব্যবসায়ী সুনীল শেরাওঁন। বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, কলকাতার জার্মান কনসাল জেনারেল তাঁর ব্যবহৃত একটি বিদেশি এসইউভি বিক্রি করবেন। ইচ্ছুক ক্রেতাদের জন্য কনসাল জেনারেলের একটি ইমেল আইডিও দেওয়া ছিল বিজ্ঞাপনে।অথচ ওই বিজ্ঞাপনের বিন্দুবিসর্গও জানত না জার্মান কনসুলেট। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা।
সম্ভাব্য ক্রেতা সুনীলবাবুর মুখ থেকেই ওই বিজ্ঞাপনের কথা জানতে পারে কনসুলেট। সুনীলবাবু সেই ইমেল আইডি-তে মেল করলে উত্তর মেলে যে গাড়ি দেখতে আলিপুরের হেস্টিংস পার্কে জার্মান কনসুলেটে আসতে হবে ক্রেতাকে। তবে তার আগে গাড়ির দামের পাঁচ শতাংশ টাকা কনসাল জেনারেলের ব্যক্তিগত সচিবের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে। গাড়ি পছন্দ না হলে সেখানেই ক্রেতাকে সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
সুনীলবাবু সেই মত টাকা জমা দিয়ে কনসুলেটে পৌঁছে গাড়ি দেখতে চান। আর তখনই আকাশ থেকে পড়েন কনসুলেটের কর্মীরা এবং খোদ কনসাল। কারণ এ রকম কোনও গাড়ি বিক্রির কোনও কথাই নেই। সুনীলবাবু তখন তাঁর ইমেল এবং বিজ্ঞাপন দেখান। তখনই জানা যায় যে কনসাল জেনারেল মাইকেল ফেইনারের নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছে।
মাইকেল সঙ্গে সঙ্গে আলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। হদিশ মেলে ফেইনারের জাল ইমেল আইডি যা প্রতারকরা ব্যবহার করেছে। গোটা ঘটনার তদন্তের ভার নিয়েছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা।
আরও পড়ুন: বাড়িতে চড়াও হয়ে ‘হুমকি’, হৃদ্রোগে মৃত্যু হল মহিলার
আরও পড়ুন: আগুন সর্বোচ্চ বাড়িতে, ঠুঁটো দমকল বাহিনী
প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীদের ধারণা, প্রতারণার পিছনে বড় চক্র থাকতে পারে। সেই সঙ্গে কনসুলেটের বর্তমান এবং কোনও প্রাক্তন কর্মীর যোগাযোগের সম্ভবনাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা। কারণ ওই মডেলের এসইউভি সত্যিই ব্যবহার করেন কনসাল জেনারেল। সেই গাড়ির যাবতীয় তথ্য ঠিকঠাক দেওয়া আছে বিজ্ঞাপনে। সেখান থেকেই দূতাবাসের ভিতরের কারওর যোগাযোগের সম্ভবনা জোরাল হচ্ছে।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনা, কলকাতার আবহাওয়া, কলকাতার হালচাল জানতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy