Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রেসিডেন্সিকে দেওয়া টাকার হিসেব চান পার্থ

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আসন ফাঁকা রাখা যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংসদের সঙ্গে এক বৈঠকের পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া টাকা কী ভাবে খরচ হয়েছে, তার অডিট করতে চায় সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০২:০৫
Share: Save:

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আসন ফাঁকা রাখা যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংসদের সঙ্গে এক বৈঠকের পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া টাকা কী ভাবে খরচ হয়েছে, তার অডিট করতে চায় সরকার।

এ দিন বিধানসভা ভবনে ওই বৈঠকে প্রাক্তনী সংসদের তরফে অভিযোগ করা হয়, পড়ুয়াদের ভর্তির বিষয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ উদাসীন। শিক্ষামন্ত্রীকে তারা জানায়, রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যায়ন ছাড়া আর কিছুই হয়নি। পঠনপাঠনের মানোন্নয়ন না করে ‘কসমেটিক’ উন্নয়ন করা হয়েছে।

সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিভাস চৌধুরী বলেন, ‘‘এই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন, আর্থিক ও হেরিটেজ সংক্রান্ত বিষয়ে অডিট করার দাবি জানিয়েছি।’’ এই দাবির সঙ্গে একমত শিক্ষামন্ত্রী পরে বলেন, ‘‘সরকারের টাকা কী ভাবে খরচ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য অডিট করার প্রস্তাব দিয়েছে সংসদ। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এমন হলে এ ক্ষেত্রে হবে না কেন? অডিট করেই দেখা উচিত, কর্তৃপক্ষ গোটা সম্পত্তি কী ভাবে দেখভাল করছে।’’

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম বর্ষে ৩০০-র বেশি আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে, যা নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত শিক্ষামন্ত্রী। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া আগেই জানিয়েছেন, মানের সঙ্গে আপস করে ছাত্রভর্তি সম্ভব নয়। তাই জোর করে আসন পূরণ করতে হলে তার দায় কর্তৃপক্ষ নেবেন না।

এ দিন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রাক্তনী সংসদ অভিযোগ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আতঙ্কের পরিবেশ চলছে। কর্তৃপক্ষের প্রতিহিংসামূলক মনোভাবের জন্য অনেক শিক্ষক চলে গিয়েছেন। বিভাসবাবুর অভিযোগ, ‘‘হেরিটেজ ধ্বংস করার পাশাপাশি খোলা মনে আলোচনার পরিবেশকেও শেষ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে একনায়কতন্ত্র কায়েম হয়েছে।’’ কল-কারখানার শ্রমিকদের স্বাধীনতাও নেই প্রেসিডেন্সিতে— দাবি প্রাক্তনীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী, ‘সংরক্ষিত’ আসনে কেউ ভর্তি না হলে তা সাধারণ আসন হিসাবে গণ্য করে পড়ুয়া ভর্তি করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সেটা কেন করা হয়নি, উপাচার্যের কাছে তা জানতে চাইবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী সংসদকে জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এত অভিযোগ সত্ত্বেও এ দিন উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি, এসএমএস-এরও জবাব দেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE