এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। তিনি পেশায় সরকারি ঠিকাদার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তপন হালদার (৫০)। শনিবার সকালে সোনারপুর থানার বোসপুকুর এলাকার একটি বাগানে গলায় নাইলন দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তবে তপনবাবুর পা মাটিতে ঠেকে থাকায় ঘটনাটিকে আত্মহত্যার ঘটনা এখনই বলতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। তপনবাবু বারুইপুর থানা এলাকার বৃন্দাখালি অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তপনবাবু। তার পরে সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গেও দেখাও করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সোনারপুর থেকে বোসপুকুর এলাকায়ও যান তিনি। সেখানেই একটি মন্দিরের পিছনের বাগান থেকে তপনবাবুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ব্যবসা সূত্রে তাঁর বন্ধু মোতালেব মোল্লার কথায়, ‘‘বছর দু’য়েক আগে তপনের ঠিকাদারি ব্যবসায় লোকসান হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কোনও সমস্যা ছিল না। বেশ কয়েকটি নির্মাণের কাজের বরাতও পেয়েছিলেন। এখন কোনও মানসিক অবসাদ ছিল না।’’
তদন্তকারীরা জানান, তপনবাবুর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়েছে। কল লিস্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে মৃতের গলায় একটি কালসিটের দাগ ছাড়া আরও কোনও ক্ষতচিহ্ন নেই। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তপনবাবুর স্ত্রী প্রভাতী হালদার বলেন, ‘‘যেখানে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে ওঁর কোনও দিনই যাতায়াত ছিল না। তেমন কোনও অশান্তিও ছিল না যাতে তিনি আত্মহত্যা করেন। ওঁকে কেউ খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কারণ দেহের অর্ধেক অংশ মাটিতে ঠেকে ছিল।’’ পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy