Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

হেয়ার স্কুলে পাঠ ইংরেজি মাধ্যমেও

১ সেপ্টেম্বর, রবিবার ২০২ বছরে পড়ল হেয়ার স্কুল। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এ দিন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড হেয়ারের মূর্তিতে মালা দেওয়া ছাড়াও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৪৮
Share: Save:

বাংলা মাধ্যম তো থাকছেই। তার পাশাপাশি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে হেয়ার স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমেও পড়াশোনা চালু হতে পারে বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক সুনীল দাস।

১ সেপ্টেম্বর, রবিবার ২০২ বছরে পড়ল হেয়ার স্কুল। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এ দিন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড হেয়ারের মূর্তিতে মালা দেওয়া ছাড়াও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আয়োজন করা হয়েছিল পদযাত্রারও। অনুষ্ঠানের পরে প্রধান শিক্ষক সুনীলবাবু বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর অনুমতি মিলেছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাক্-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে ইংরেজি মাধ্যমে পঠনপাঠন চালু হলে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়। প্রথমে প্রাক্‌-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে ইংরেজি মাধ্যম চালু হবে। তার পরে ধীরে ধীরে তার ব্যবস্থা হবে অন্যান্য ক্লাসেও।’’

বেশ কয়েক বছর ধরে অভিযোগ উঠছে, হিন্দু, হেয়ারের মতো এক সময়ের নামী স্কুলগুলি আগের গৌরব ধরে রাখতে পারছে না। ফলে ওই সব সরকারি স্কুল থেকে অনেক অভিভাবকই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ওই সব স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক না-থাকার অভিযোগও উঠেছে। বস্তুত প্রাথমিক স্তরে পর্যাপ্ত শিক্ষক না-থাকায় সম্প্রতি হেয়ার স্কুলেরই সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকদের একাংশ। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, এমনিতেই তো শিক্ষকের অভাব। তার মধ্যে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু হয়ে গেলে দু’টি মাধ্যমে পড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক মিলবে তো?

এ দিনের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েক জন প্রাক্তন শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রভাতকুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁদেরও বক্তব্য, স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক দরকার। প্রভাতবাবু জানান, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় থেকে শুরু করে, মহেন্দ্রলাল সরকার, এমপি বিড়লা-সহ বহু নামী মানুষ এই স্কুলের পড়ুয়া। যে-কারণেই হোক, সময়ের সঙ্গে এখন কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে এই স্কুল। প্রভাতবাবু বলেন, ‘‘ইংরেজি মাধ্যম চালু হলে হয়তো অনেকে আবার এই স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে আগ্রহী হবেন। তবে সে-ক্ষেত্রে বাড়াতে হবে শিক্ষক-সংখ্যাও।’’ পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর মতে, ‘‘শুধু ইংরেজি মাধ্যম চালু করলেই তো হবে না। শিক্ষকদের গুণমানও যাতে ভাল হয়, সেটাও দেখতে হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষক-সংখ্যাও পর্যাপ্ত হওয়া দরকার। রাজ্য জুড়ে ৩৯টি সরকারি স্কুলেই শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এবং সেই ঘাটতিটা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। খালি পদ অবিলম্বে পূরণ করা দরকার।’’

স্কুলের এক প্রাক্তনী দেবজ্যোতি দত্ত বলেন, ‘‘এই দিনটায় আমি প্রতি বছর স্কুলে আসি। পুরনো বন্ধু এবং শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হয়। স্কুলের উন্নয়নের জন্য আমাদের যদি কিছু করতে হয়, এক কথায় রাজি আছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education Hare School English Medium
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE