বেশি দামে ওষুধ কেনায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)। ক্যাগের রেসিডেন্ট অডিট শাখা সম্প্রতি পুরসভার কমিশনারের কাছে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, গত বছর থেকে পুরসভা যে দরে ওষুধ কিনছে তা ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরের তুলনায় অনেক কম। ওষুধের দরের এই তারতম্যের ফলে ওই দুই আর্থিক বছরে পুরসভার ভাঁড়ার থেকে বাড়তি তিন কোটি টাকা বেরিয়ে গিয়েছে বলে ক্যাগের চিঠিতে বলা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে পুরসভার পাঠানো ওষুধের বিল থেকেই দরের ওই তফাত জানা গিয়েছে। এর পিছনে পুরসভার একশ্রেণির কর্মীর গাফিলতি ছিল। স্বাস্থ্য দফতর তা জানতে পেরে ব্যবস্থা নেওয়ায় বাড়তি খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনা পয়সায় ওষুধ দেওয়া হয়। প্রতি বছরই এ বাবদ ওষুধ কেনে পুরসভা। দফতরের এক অফিসার জানান, ২০১২ ও ২০১৩ সালে শহরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ায় অনেক ওষুধ কিনতে হয়েছিল। টেন্ডার ডেকে পুরসভা সরাসরি সেই ওষুধ কিনেছিল। গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে ওষুধ কিনেছে পুরসভা। তাতে অনেকটা সাশ্রয় হয়েছে। ক্যাগের রিপোর্টে তারই প্রতিফলন হয়েছে বলে জানান ওই অফিসার।
এ বিষয়ে পুরসভার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের ব্যাখ্যা, সরকার প্রচুর পরিমাণে ওষুধ কেনে। দরও কম পায়। তাই এ বার থেকে সেখান থেকেই ওষুধ কিনছে পুরসভা। কেন আগে তা করা হত না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই পুরসভার মেডিসিন বিভাগের (স্টোর) এক আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক অফিসারও এর জন্য দায়ী বলে মনে করছে পুর প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy