পৃথিবীতে একাধিক প্রজাতির গন্ডার মেলে। তার মধ্যে ভারতের অসমে এবং পশ্চিমবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সে একশৃঙ্গ গন্ডার দেখা যায়।
শহুরে জন্তুর মধ্যে গন্ডার নেই। তবুও নাগরিক সভ্যতার মধ্যে থেকেই গন্ডার সচেতনতার বার্তা দিল হিডকো এবং বন দফতর। সঙ্গী হয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। রবিবার, ‘বিশ্ব গন্ডার দিবসে’ নিউ টাউনের অনুষ্ঠানে গন্ডার সংরক্ষণ নিয়ে পোস্টার প্রকাশের পাশাপাশি ইকো পার্কের প্রজাপতি উদ্যানের বার্ষিক রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়। হিডকো জানিয়েছে, এই পোস্টারগুলি নিউ টাউনের কয়েকটি স্কুলে বিলি করা হবে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, পশ্চিমবঙ্গ ওয়েস্ট ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের এমডি রাজু দাস, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি শিলাদিত্য চৌধুরী-সহ নিউ টাউনের একটি বৃদ্ধাবাসের আবাসিকেরা। হিডকোর এক কর্তা বলেন, ‘‘জীববৈচিত্র রক্ষায় সচেতনতা প্রসারে আমরা চেষ্টা করছি। এর আগে পেঁচা নিয়েও অনুষ্ঠান হয়েছে।’’
পৃথিবীতে একাধিক প্রজাতির গন্ডার মেলে। তার মধ্যে ভারতের অসমে এবং পশ্চিমবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সে একশৃঙ্গ গন্ডার দেখা যায়। বনকর্তারা জানান, খড়্গের লোভে গন্ডার শিকার করে অপরাধীরা। পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছরে একাধিক গন্ডার মারা গিয়েছে। তার তদন্তও চলছে। বন দফতরের কর্তাদের দাবি, কয়েকটি চোরাশিকারের ঘটনা ঘটলেও গত দু’দশকে উত্তরবঙ্গে জলদাপাড়া ও গরুমারা জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ দিন দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘গন্ডারের খড়্গ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতে পারে বলে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কিন্তু গন্ডারের খড়্গের কোনও ওষধি গুণ নেই। আশা করি, আমাদের পোস্টারের মাধ্যমে এই ধরনের সচেতনতা বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy