প্রতীকী চিত্র।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া এক স্কুলশিক্ষিকার মাকে তাঁর মেয়ের মৃত্যুজনিত ও অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা এবং পারিবারিক পেনশন দিতে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশে বলা হয়, ১৬ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষিকার সত্তরোর্ধ্ব মাকে ওই সমস্ত সুবিধা দিতে হবে।
মৃতার মা করুণা পাঁজার আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, হাওড়ার জুজারসাহার একব্বরপুরের বাসিন্দা কাকলি পাঁজা ভূগোলের শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে দাসনগর নেতাজি সুভাষ হাইস্কুলে চাকরি পান তিনি। ২০১১ সালে পথ দুর্ঘটনায় অবিবাহিত কাকলি মারা যান। করুণাদেবী স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে মেয়ের মৃত্যুজনিত ও অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা এবং পারিবারিক পেনশন চেয়ে আবেদন জানান। শিক্ষা দফতর জবাব না দেওয়ায় ২০১৫ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের আদালতের দ্বারস্থ হন ওই বৃদ্ধা। বিচারপতি দত্ত পাওনা সুযোগ-সুবিধা মেটাতে ও পারিবারিক পেনশন চালু করতে নির্দেশ দেন।
আশিসবাবু জানান, হাওড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক দাবি করেন, কাকলি বিবাহিত। স্বামী প্রবীর জানা তাঁর উত্তরাধিকারী। তাই বৃদ্ধা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন। তিনিই যে মেয়ের একমাত্র আইনি উত্তরাধিকারী, তা জানিয়ে এবং সেই সংক্রান্ত নথি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জমা দেন করুণাদেবী। হাওড়ার জেলাশাসকের কাছেও আবেদন জানান ওই মহিলা। জেলাশাসক স্কুল পরিদর্শককে জানিয়ে দেন, করুণাদেবীই একমাত্র উত্তরাধিকারী। এর পরে ওই বৃদ্ধা পেনশন দফতরেও আবেদন জানান। তাতেও মেয়ের অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা না মেলায় ফের হাইকোর্টের যান।
বৃদ্ধার আইনজীবী জানান, এ বার মামলার আবেদনে তাঁর মক্কেল জানিয়েছেন, প্রবীর জানা নামে যে ব্যক্তিকে কাকলির স্বামী বলে স্কুল পরিদর্শক জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষিকার মেসোমশাই। ব্যাখ্যায় বলা হয়: ২০০৯ সালে মৃত্যুর দু’বছর আগে উচ্চ হারে বেতন চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কাকলি। সেই মামলার নথিতে ‘কেয়ার অব’ প্রবীর জানার বদলে ভুলবশত ‘ওয়াইফ অব’ বলে লেখা হয়েছিল। সেই নথি জমা ছিল জেলা স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয়ে। তা দেখেই মায়ের বদলে ‘স্বামী’-কে উত্তরাধিকারী বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy