অভিযুক্ত যাদবপুর থানার ওসি পুলককুমার দত্ত। —নিজস্ব চিত্র
হাসপাতালের দাবি, পুলিশকর্তারা বলেছিলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসককে নিগ্রহের ঘটনা ‘দেখে নেবেন’ তাঁরা। তাই হাসপাতালকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের না করারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কোনও পদক্ষেপ চোখে না পড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ডিসি (দক্ষিণ) মির্জা খালিদের কাছে লিখিত অভিযোগ করল সিএমআরআই।
শুক্রবার বিকেলে লালবাজারে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (নগর) সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘ডিসি (দক্ষিণ) অফিসে দুপুর ৩টে নাগাদ পুলক দত্ত গিয়েছিলেন।চিকিৎসকেরাও ছিলেন। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে এক ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। পুলকবাবু দুঃখপ্রকাশ করেছেন।’’ তবে এ বিষয়ে অনুসন্ধান যেমন চলার চলবে। হাসপাতালও জানিয়েছে, অভিযোগ তোলার প্রশ্নই নেই। আইনি পথেই যা হওয়ার হবে।
হাসপাতালের অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনার পরে পুলিশকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে তদন্তের আশ্বাস দেন। এফআইআর না করারও পরামর্শ দেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেনি হাসপাতাল। অভিযোগ, এর পরেও পুলকবাবু চিকিৎসক ও কর্মীদের অপহরণের হুমকি দিয়েছেন। ক্ষমা চাওয়া তো দূর, উল্টে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের ও ‘পুলিশকর্তার ক্ষমতা’ দেখানোর হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
হাসপাতাল-কর্তারা জানান, চিকিৎসক-নিগ্রহের এই ঘটনাকে সহ্য করা হবে না। অভিযুক্ত ওসি যে ভাবে হুমকি দিয়েছেন, তা মেডিক্যাল আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগে তা-ও বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy