ফাইল চিত্র।
তিনতলা বাড়ির একতলাটা শুধু বসবাসযোগ্য। বাকি দু’টি তলাই নির্মীয়মাণ। সেখানে বড় বড় খাঁচায় টিয়া, চন্দনা এমনকি কাঠবিড়ালিও রাখা। বুধবার হানা দিয়ে নাকতলার শহিদনগর কলোনি থেকে ওই পশুপাখি-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে সুমিত সরকার নামে এক যুবককে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে বেআইনি ভাবে পাখির পোষার খবর কলকাতার ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সুচন্দ্রা কুণ্ডুর কাছে আসে। তিনি বন দফতরের অফিসারদের নিয়ে হানা দেন বাড়িতে। সুচন্দ্রা জানান, বাড়িতে বদ্রি ও পায়রা রয়েছে। সেগুলি বাড়িতে পোষা যায়। কিন্তু বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী, বাড়িতে টিয়া বা চন্দনার মতো পাখি পোষা যায় না। কাঠবেড়ালি তো নয়ই।
বন দফতর সূত্রের খবর, সুমিত কিশোরকন্ঠী গায়ক। অফিসারদের অনুমান, অনুষ্ঠান করার পাশাপাশি তিনি পাখি কেনাবেচার ব্যবসাও করেন। তাঁর বাড়িতে যে বড় খাঁচা পাওয়া গিয়েছে, তা পাখির প্রজননের জন্য ব্যবহার করা হয় বলে অনুমান। সুচন্দ্রা জানান, ওই বাড়ির একতলায় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে সুমিত থাকেন। সেখান থেকে মিলেছে বদ্রি পাখি। দোতলা ও তিনতলায় মিলেছে ন’টি টিয়া (রোজরিংড প্যারাকিট), তিনটি চন্দনা (অ্যালেকজ়ান্দ্রাইন প্যারাকিট) এবং একটি কাঠবিড়ালি। এই সব পশুপাখি উদ্ধার করে বুধবার সল্টলেকে বন দফতরে নিয়ে আসা হয়েছে। সুমিতকে বুধবার রাতে সল্টলেকের থানায় রেখে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলার কথা।
এ দিন কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের মুড়াগাছা মোড় থেকে একটি গাড়ি আটক করে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি পাখি উদ্ধার হয়েছে। গাড়ির চালক-সহ মোট চার জনকে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy