জানবাজারের কাছে রানি রাসমণির বাড়িতে অবৈধ নির্মাণ।-নিজস্ব চিত্র।
মধ্য কলকাতার জানবাজারের কাছে রানি রাসমণির বাড়ি। সেই ‘হাজরাবাড়ি’তে এখন থাকেন তাঁর জামাইয়ের উত্তরসূরিরা। তাঁদের মধ্যেই শরিকি ঝামেলা। তার জেরেই বাড়ির অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলেন পুরসভার কর্মীরা। কিন্তু, আগে থেকে নোটিস না পাঠানোয় ফিরে আসতে হল তাঁদের।
আগেই রানি রাসমণির ওই বাড়ি হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। আর আইন অনুযায়ী হেরিটেজ তকমা পাওয়া কোনও বাড়ির চরিত্র বদল করা যায় না। রানি রাসমণির বাড়ি আবার গ্রেড ‘এ’ তকমা পাওয়া।
প্রায় দু’বিঘে জমিতে রানি রাসমণির জামাইয়ের তরফের উত্তরসূরিরা ওই হাজরাবাড়িতে থাকেন। সেই বাড়িতেই অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার পুরসভার কর্মীরা ওই অংশ ভাঙতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও বাধার মুখে পড়ে ফিরে আসতে হয় তাঁদের। শুনতে হয়েছে গালমন্দও।
আরও পড়ুন: বাধ্য হয়ে তৃণমূলে, আর পাল্টা মারতে বিজেপিতে: দ্বিমুখী ভাঙনে বিপর্যস্ত কংগ্রেস
ওই বাড়িতে থাকেন দীপঙ্কর হাজরা। তাঁর বিরুদ্ধেই অবৈধ নির্মানের অভিযোগ করেন তাঁর খুড়তুতো ভাই সুবীর হাজরা। তিনিই বিষয়টি পুরসভার নজরে আনেন। অভিযোগ পেয়েই এ দিন গ্রেড এ তকমা পাওয়া ঐতিহ্যশালী ওই বাড়িতে পৌঁছয় পুরসভার দল। দীপঙ্করবাবু জানান, “আগে থেকে নোটিস না দিয়ে বাড়িতে ঢুকেছিল ওঁরা। মেয়রকে ফোন করতেই ওঁরা চলে গিয়েছেন।”
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুরসভার তরফে। পুরসভার এক অফিসার বলেন, “হেরিটেজ তকমা পাওয়া বাড়িতে একটা টিনের চাল লাগাতে গেলেও অনুমতি নিতে হয়। কোথাও কিছু করতে হলে হেরিটেজ কমিটির সদস্যেরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনুমতি দেন।”
পুরসভার নথি ঘেঁটে জানা গিয়েছে, সুবীরবাবুও দেড় মাস আগে বাড়ির অন্য অংশে অবৈধ নির্মাণ করছিলেন। তখন সরব হন দীপঙ্করবাবু। পুরসভার কাছে অভিযোগ জানান। সেই সময় অবৈধ অংশ ভেঙে দিয়েছিল পুরসভা। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সুবীরবাবু। এ বার দীপঙ্করবাবু নিজের অংশে অবৈধ নির্মাণ করতেই পুরসভাকে জানিয়ে দেন সুবীরবাবু। পুরসভা সূত্রে খবর, কোনও ভাবেই অবৈধ নির্মাণ মেনে নেওয়া হবে না। অভিযোগ এলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy