প্রতীকী ছবি।
কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে মহিলার ভাইও জখম হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকার উত্তর পদ্মজলা গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পম্পা মণ্ডল নামে ওই গৃহবধূ তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘরের বাইরে শৌচাগারে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে দেবু মণ্ডল নামে এক যুবক আচমকাই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপরে হামলা চালায়। এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে সে। মহিলার আর্তনাদ শুনে তাঁর ভাই মিন্টু মণ্ডল ঘরের বাইরে এসে দিদিকে বাঁচাতে গেলে তাঁর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে দেবু।
এর পরে গোলমাল শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গৃহবধূ ও তাঁর ভাইকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, মহিলার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়ায় আঘাত গুরুতর।
আরও পড়ুন: পুজো-জনতার ‘আচরণ’ই ঠিক করবে সংক্রমণের হার
সেই কারণেই তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।জখম বধূর পরিবারের অভিযোগ, বারুইপুরের রামনগরের বাসিন্দা দেবু প্রায়ই তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এমনকি, তাঁকে নিয়ে পালিয়ে যেতেও চেয়েছিল সে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আক্রোশের বশে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছে সে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আক্রান্তের পরিজনেরা।
আরও পড়ুন: ‘সুপার স্প্রেডার’ মণ্ডপগুলির সামনে গোটা শহর অসহায়
আরও পড়ুন: গুনিনের অত্যাচারে অসুস্থ স্নায়ুরোগে আক্রান্ত কিশোরী
ঘটনার পর থেকে দেবুর কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তার বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেবুর কয়েক জন আত্মীয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy