শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে যখন মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষকদের দীক্ষাগুরু বলে সম্বোধন করছেন, ঠিক তখনই হাজরার কাছে শিক্ষকদের উপরে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত হলেন সাত শিক্ষক। এক শিক্ষিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারী শিক্ষকদের। যদিও লাঠিচার্জের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব ঘোষণা মতোই এ দিন দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে হাজরা মোড়ে জমায়েত করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সংগঠন কুটাব। র্নিদিষ্ট বেতন কাঠামো, একই কাজে একই বেতন-সহ একাধিক দাবি নিয়ে এ দিন নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি জমা দিতেই এই জমায়েত। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে যানজটও হয়।
আরও পড়ুন: মরছে মানুষ, দেখছে পুরসভা
আন্দোলনকারীরা মিছিল করে রাসবিহারী মোড়ের দিকে যেতেই পুলিশ পথ আটকায় তাঁদের। কিন্তু তা অমান্য করে এগোতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে রাস্তায় পড়ে যান কয়েক জন শিক্ষক। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ দেবনাথের অভিযোগ, শিক্ষিকাদেরও রেয়াত করা হয়নি। লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন মহিষাদল কলেজের শিক্ষিকা সোহিনী চক্রবর্তী। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় অসুস্থ হয়েছেন আরও সাত শিক্ষক।
গৌরাঙ্গবাবু বলেন, ‘‘এই কর্মসূচির জন্য পুলিশের আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল। তার পরেও নির্মমভাবে আমাদের উপরে চড়াও হল পুলিশ। শিক্ষক দিবসের দিনেই যে ভাবে শিক্ষকদের নিগ্রহ করা হল, তার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। বুধবার রাজ্য জুড়ে ধিক্কার কর্মসূচি পালন করা হবে।’’ তবে এ দিনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজনৈতিক ভাবে যাঁরা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন তাঁরাই এগুলো করেন। মাথা থেকে ভাল কিছু বেরোয় না।’’ শিক্ষকদের ধারণা, এ দিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলেছেন।
সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘শিক্ষক দিবসে যে ভাবে পুলিশ দিয়ে শিক্ষকদের মারধর করা হল, তাতে বোঝা যাচ্ছে রাজ্য সরকার শিক্ষকদের কত সম্মান করে। দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার বদলে, যে ভাবে পুলিশ দিয়ে মোকাবিলা করা হল, তার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের প্রতি সহমর্মিতা রইল।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাঠিচার্জ তো দূরের কথা, ধাক্কাধাক্কিও করা হয়নি। যদিও লালবাজারের কর্তারা এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy