যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে যে টাকা আয় করেছে তার উপর প্রায় চার কোটি টাকা জিএসটি চাইল কর-কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনই এই টাকা দিতে রাজি নন। নেওয়া হচ্ছে আইনি পরামর্শ।
এই টাকা চাওয়া হয়েছে ২০১২-’১৩ থেকে ২০১৬-’১৭ শিক্ষাবর্ষের পরিষেবার উপর। কর চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন খাতে। সব থেকে বেশি টাকা চাওয়া হয়েছে বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের উপর। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হল এবং ভবনের ভাড়া দিয়ে আয় করে। জিএসটি চাপানো হয়েছে তার উপরও। সিএবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠটি দেখাশোনা ও ব্যবহার করে। এর জন্য যে আয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হয় তার উপরেও জিএসটি দাবি করা হয়েছে। জিএসটির তালিকায় রয়েছে ডে কেয়ার সেন্টার থেকে আয়, শংসাপত্র যাচাই, পেটেন্ট থেকে আয়, কর্মী আবাসনের ভাড়া থেকে আয়ও। কোন খাতে কেন এবং কত টাকা দাবি করা হচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার জিএসটি কমিশনার রাজীব গুপ্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘গবেষকেরা পরিশ্রম করে গবেষণা প্রকল্প এনে গবেষণা চালান। তার উপর এইভাবে কর চাওয়া দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই জিএসটি দেওয়া নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা আপাতত আইনি পরামর্শ নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy