যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে বাড়তি ছাত্র ভর্তিতে অনিয়ম নজরে এসেছে উচ্চশিক্ষা দফতরের। তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম হয়নি।
উচ্চশিক্ষা দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিষয়ে নির্ধারিত আসনের ৬০ শতাংশ নিজেদের প্রতিষ্ঠানের এবং ৪০ শতাংশ অন্য প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু যাদবপুরের স্নাতকোত্তরের কলা বিভাগের বহু বিষয়ে আসন বাড়ানোর সময়ে রাজ্য সরকারের ৬০-৪০ শতাংশের এই নিয়ম মানা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ইতিহাসের স্নাতকোত্তরে মোট ৫৪টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে ২৪টি বাইরের প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এ বার ইতিহাস বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে ৭৩ জনকে। যার মধ্যে ৪৯ জন স্নাতক স্তরেও যাদবপুরেই পড়তেন। অর্থাৎ, ছাত্র আসন বৃদ্ধি করলেও সেখানে ৬০-৪০ শতাংশ নিয়ম মানা হল না। একই ভাবে বাংলায় ১৮ এবং দর্শনে ১৮টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু অনুপাত মানা হয়নি। কলা বিভাগের ডিন শুভাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিষ্ঠানেই অনেক পড়ুয়া। তাঁরা যাবেন কোথায়? তাই আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে কর্মসমিতিও মত দিয়েছে।’’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, সুপারনিউমেরারি অর্থাৎ, স্বাভাবিক সংখ্যার থেকেবেশি সংখ্যক ছাত্র ভর্তি করলে সেখানে ৬০-৪০ শতাংশ প্রযোজ্য হয় না। নিয়ম অনুযায়ী, ইনটেক ক্যাপাসিটি অর্থাৎ, নির্ধারিত আসনের উপরে ভিত্তি করেই এই অনুপাত ঠিক হয়। সুপারনিউমেরারি প্রতি বছরে পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু ইনটেক ক্যাপাসিটি পরিবর্তিত হয় না। তাই অনুপাত সেটার উপরে ভিত্তি করেই হয়। ‘‘এটা কোনও অনিয়ম নয়,’’ বলেন সুরঞ্জনবাবু। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মধ্যে একাংশ এই তত্ত্ব মানতে রাজি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy