Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

কলকাতার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কী বাড়ছে? কন্টেনমেন্ট জোন থেকেও রক্তের নমুনা সংগ্রহ

মঙ্গলবার শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২০ ২২:১৯
Share: Save:

এ বার কলকাতা পুরসভার ল্যাবেও অ্যান্ডিবডি পরীক্ষার ভাবনা। কলকাতার বাসিন্দাদের শরীরে করোনায় মোকাবিলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে কি না, তা জানতে শুরু হয়েছে রক্তের নমুনা সংগ্রহ। তবে এই পরীক্ষার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর চেন্নাইয়ের ল্যাবে নমুনা পাঠানো হচ্ছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এ শহরেই যাতে পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা যায়, তার চেষ্টা চলছে বলে জানা যাচ্ছে পুরসভা সূত্রে। সেই সঙ্গে লালরসের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ টেস্টও যাতে করা যায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কন্টেনমেন্ট জোনও। গত বৃহস্পতিবার ১১টি ওয়ার্ডের কয়েকশো বাসিন্দার রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছে। এ দিনও দক্ষিণ কলকাতার একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শহরবাসীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না, তা জানতে একটি সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ‘সেরেলোজিক্যাল সার্ভে’ বলা হয়। সেই সমীক্ষারই অঙ্গ এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষা।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর নির্দেশিকা মেনে হু(বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)এবং কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা যৌথ ভাবে নমুনা সংগ্রহের কাজ করছেন। কলকাতার ৭, ২৬, ৪০, ৫৮, ৬৬, ৯৫, ১০৪, ১০৮, ১২২, ১২৮, ১৩৫, ১১, ২৯, ৬১, ৮২, ৯০ ওয়ার্ডগুলি থেকে কয়েকশো মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ দিন ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের কন্টেনমেন্ট জোন থেকেও নমনুনা সংগ্রহ হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, “মানুষের ভালর জন্যে আমরা সব রকম সহযোগিতা করব। আইসিএমআর অ্যান্ডিবডি টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে রিসার্চের জন্যে। আমার ওয়ার্ডের কন্টেনমেন্ট জোন থেকেও নমুনা সংগ্রহ হয়েছে।”

আরও পড়ুন: চিনের দিক থেকে সমঝোতা লঙ্ঘন, সার্বভৌমত্বে আপস নয়, কড়া বার্তা ভারতের

সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দীর মতে, কোভিড ইমিউনো গ্লোবিউলিন জি টেস্টের মাধ্যমে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হচ্ছে। এর ফলে এই অসুখ কতটা ছড়িয়েছে সে সম্পর্কে একটা ধারণা বা আন্দাজ করা যাবে। তার পাশাপাশি আমরা যে সব উপায় অবলম্বন করে করোনাকে ঠেকানোর চেষ্টা করছি, সেগুলো কতটা ফলপ্রসূ হবে, জানা যাবে। উপসর্গহীন কত জন রোগী আছেন তা জানার পাশাপাশি রোগ ছড়িয়ে পড়ার গতিপ্রকৃতিও এই টেস্টের মাধ্যমে কিছুটা বোঝা যাবে। তবে এই টেস্ট বন্ধ করে দিলে হবে না। ঘন ঘন না করলে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় থেকেই যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE