আন্দোলনরত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। —ফাইল চিত্র।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও নিজের বক্তব্যে অনড়। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, লোকসভা ভোটের আগে কোনও মতে কলেজ-বিশ্ব বিদ্যালয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে, যাদবপুরের পড়ুয়ারা যে কোনও উপায়েই দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে।
দু’পক্ষের অনড় মনোভাবের জেরে পঠনপাঠন কার্যত শিকেয় উঠতে চলেছে। শুক্রবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘেরাও হয়ে রয়েছেন সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ। আন্দোলনকারীদের দাবি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাঁরা নির্বাচন চাইছেন।
এ বিষয়ে যাতে সিদ্ধান্তে আসা যায়, সে জন্যে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা চাইছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও পক্ষ থেকেই সবুজ সঙ্কেত আসেনি। এক আন্দোলনকারীর কথায়, ‘‘যতক্ষণ না পর্যন্ত আলোচনায় বসছেন, ততদিন প্রতিবাদ চলবে। আমরা অবস্থানে বসে রয়েছি।’’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রবাহ বেড়েই লেগেছিল গড়িয়াহাটের আগুন
গত কয়েক দিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা রয়েছে। কর্ম সমিতির বৈঠকের পর পড়ুয়াদের মতামতের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগের আঙুল উঠেছে কর্তৃপক্ষের দিকে। এই বৈঠক শেষে পড়ুয়াদের আন্দোলনের মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এর পরেই শিক্ষামন্ত্রী আসরে নামেন। কারা এই ঘটনায় যুক্ত, সে বিষয়ে সুরঞ্জনবাবুর কাছে জানতে চান তিনি। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের নাম প্রকাশে আনতে চাননি উপাচার্য। তিনি বলেন, “আমি আগে শিক্ষক। তার পর উপাচার্য। কারও নামে অভিযোগ জানাতে পারব না।”
আরও পড়ুন: নিগৃহীত হলেও নাম বলতে চান না উপাচার্য, তদন্ত চায় যাদবপুর
যদিও এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ দিকে ছাত্রনেতা দেবরাজ দেবনাথের বক্তব্য, ‘‘আমাদের দাবি নিয়ে যাঁরা আন্দোলনের পাশে রয়েছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সে বিষয়ে তদন্ত হোক। আমরা চাই তদন্ত কমিটি সে দিক বিবেচনা করে দেখুক।’’
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy