Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাম্পাস থেকে মশা তাড়াতে উদ্যোগী উপাচার্য

এক পুর আধিকারিক জানান, যাদবপুর ক্যাম্পাসে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন বাসিন্দা। এর পরেই পুরসভার দল গিয়ে দেখে সেখানে বহু জায়গায় ডেঙ্গিবাহী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা রয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অনুপ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১৯
Share: Save:

ক্যাম্পাস জুড়ে জঞ্জাল আর ডেঙ্গিবাহী মশার লার্ভা অস্বস্তিতে ফেলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার দল সেখানে গিয়ে সে সব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষকে। একই ঘটনা যাতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না ঘটে সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হলেন সদ্য নিযুক্ত উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি ক্যাম্পাস রয়েছে। সবগুলিকে কী ভাবে পরিচ্ছন্ন এবং মশার লার্ভা মুক্ত রাখা যায় তা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে স্বাস্থ্য দফতরের উপদেষ্টা এবং মুখ্য পতঙ্গবিদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছেন তিনি। পুরসভা সূত্রের খবর, গত সোমবার পুরসভার ওই দুই অফিসারকে নিয়ে নিজের ঘরে বৈঠক করেন সোনালিদেবী।

এক পুর আধিকারিক জানান, যাদবপুর ক্যাম্পাসে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন বাসিন্দা। এর পরেই পুরসভার দল গিয়ে দেখে সেখানে বহু জায়গায় ডেঙ্গিবাহী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য পুরসভাকে অনুরোধও করলে পুরসভা সেগুলি সাফ করে দেয়।

আরও পড়ুন: দশ দিন পুলিশি হাজতে এসডি অ্যালুমিনিয়াম-কর্তা

সূত্রের খবর, এর পরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নিয়ে চিন্তা বাড়ে উপাচার্য সোনালিদেবীর। তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে পুরসভার সঙ্গে কথা বলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই বৈঠকেই ঠিক হয় পুরসভায় গিয়ে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন রেজিস্ট্রার রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তী। বুধবার, সেই বৈঠক হল পুরসভায়। রেজিস্ট্রার-সহ হাজির ছিলেন পুরসভার জঞ্জাল দফতরের ডিজি শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তপন মুখোপাধ্যায় এবং মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থির হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্যাম্পাসে পুরসভার দল গিয়ে দেখবে মশার লার্ভা রয়েছে কি না। সারা বছর ধরেই এই কাজ চালাবে পুরসভা। পাশাপাশি জমা জঞ্জাল প্রতি দিনই তুলে আনবেন পুরকর্মীরা। জঞ্জাল ফেলতে ডাস্টবিনও দেবে পুরসভা। এর জন্য যা খরচ হবে তা পুরসভাকে মিটিয়ে দেবেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ। তপনবাবু জানান, উপাচার্য তাঁদের জানিয়েছেন বহু ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে, আবাসনে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত থাকেন। তাঁদের সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য দফতরের সহায়তা জরুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE