Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

যাদবপুরে কলায় ভর্তি পুরনো নিয়মে

তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ভর্তি কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়েছে ঠিকই। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে গত শিক্ষাবর্ষে যে-ভাবে ভর্তি হয়েছিল, এ বারেও সেই ভাবে করার সিদ্ধান্ত নিল ভর্তি কমিটি।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:২০
Share: Save:

তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ভর্তি কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়েছে ঠিকই। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে গত শিক্ষাবর্ষে যে-ভাবে ভর্তি হয়েছিল, এ বারেও সেই ভাবে করার সিদ্ধান্ত নিল ভর্তি কমিটি। এ ক্ষেত্রে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশ গ্রাহ্য করা হল না বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের মত।

গত ভর্তির মরসুমে প্রবেশিকা পরীক্ষা ঘিরে চূড়ান্ত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রবেশিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েও ছাত্র আন্দোলনের জেরে তা ফিরিয়ে আনা হয়। বারবার দিন বদল করে শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয় ভর্তির পরীক্ষা। তার পরে ইতিহাসের ভর্তি-পরীক্ষায় ফল-বিভ্রাটের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বর্তমান গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ এবং প্রাক্তন বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়। সেই কমিটির রিপোর্ট সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে, যদি প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়, তা হলে মেধা-তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ প্রবেশিকা থেকে নেওয়া হোক। বাকি ৫০ শতাংশ নেওয়া হোক স্কুল স্তরের সর্বশেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর থেকে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের বৈঠকে গত বছরের নিয়ম মানা হবে বলেই স্থির হয়েছে। কলা বিভাগের ডিন শুভাশিস বিশ্বাস জানান, গত বছরের নিয়ম অনুযায়ী ইংরেজি আর তুলনামূলক সাহিত্যে ভর্তি নেওয়া হবে শুধু প্রবেশিকা পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস, বাংলা, দর্শনে ভর্তি নেওয়া হবে প্রবেশিকায় ৫০ শতাংশ, বাকি ৫০ শতাংশ স্কুল স্তরের সর্বশেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে। সংস্কৃত, সমাজতত্ত্ব, অর্থনীতিতে ভর্তি নেওয়া হবে শুধু স্কুল স্তরের সর্বশেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে। এই তিন বিষয়ে প্রবেশিকা নেওয়া হবে না।

তুলনামূলক সাহিত্য স্কুল স্তরে পড়ানো হয় না। তাই এ ক্ষেত্রে শুধু প্রবেশিকার নম্বরকেই যোগ্যতা নির্ণায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। ইংরেজি স্কুল স্তরে পড়ানো হলেও পড়ুয়ার মৌলিক চিন্তাভাবনা প্রবেশিকার মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়। ডিন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই বিষয়ে এই যুক্তিই গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এ দিনের ভর্তি কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়েছে। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়া গত বছরের নিয়মেই হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ এ দিনের সিদ্ধান্ত এ বার কর্মসমিতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তদন্ত কমিটি অবশ্য রিপোর্টে জানিয়েছিল, যদি প্রবেশিকা নেওয়া হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভর্তি কমিটি। কী ভাবে ভর্তি হবে, সেই ব্যাপারে ভর্তি কমিটিই পরামর্শ দিতে পারে কর্মসমিতিকে।

যাদবপুরে কিছু বিষয়ে সরাসরি ভর্তি হয় আর কিছু বিষয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা কেন নেওয়া হয়, এই নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এ বারেও সেই প্রক্রিয়া চালু থাকছে। এ দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জুটা ভর্তি কমিটিকে জানিয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রতিটি বিষয়ের শিক্ষকদের মতামতকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE