কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে (কেইআইআইপি) জোকার নিকাশি সংস্কারের কাজ করবে। কিন্তু সেই কাজের নকশা তৈরি শেষ হয়নি। ফলে কলকাতা পুরসভার পক্ষে নিকাশির কোনও কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী বর্ষায় জল জমার সমস্যায় ফের ভুগতে পারেন জোকার বাসিন্দারা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা ভেবে সাময়িক সুরাহা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
কলকাতা পুরসভার নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, ‘‘জোকায় জল জমার সমস্যা কমেছে। তবে আরও উন্নতির জন্য কেইআইআইপি কাজ করবে। যেখানে সেই কাজ হবে সেখানে এখনই পুরসভার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। কেইআইআইপি-র কাজের জন্য অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছে। বাকি অংশে নিকাশির কাজ করছি।’’
কলকাতা পুরসভার নিকাশি দফতরের এক আধিকারিক জানান, কেইআিআইপি কাজ করবে বলে পুরসভার নিকাশি দফতর আলাদা ভাবে কিছু করছে না। ১৬ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কেইআইআইপি জোকার যে অংশে কাজ করবে সেই পরিকল্পনা আমাদের না জানা অবধি পুরসভার পক্ষে সেখানে আলাদা ভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।’’ তবে কিছু জায়গায় আপাতত খাল কেটে ‘সারফেস ড্রেন’ তৈরি করে কোনও ভাবে বর্ষার জল বার করা হচ্ছে। তার ফলে সমস্যা আপাতত কিছুটা কমছে বলেও ইন্দ্রজিৎবাবু জানান।
কেইআইআইপি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় কিস্তিতে যে অর্থ বরাদ্দ করা হবে সেই অর্থেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। কেইআইআইপি-র আধিকারিকের কথায়, চলতি বছরে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হওয়ার কথা। তার পরেই জোকার নিকাশি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে প্রায় বছর দুই লাগবে বলে কেইআইআইপি কর্তৃপক্ষ জানান। নিকাশির নকশার কাজ অনেকটাই করা সম্ভব হয়েছে।
এই এলাকার নিকাশির জন্য চড়িয়াল খালই মূল ভরসা। খালটি মজে গিয়েছিল। সেচ দফতর চড়িয়াল খালেরও একাংশের সংস্কার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তার পরেও এখানে অল্প বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায়। অসুবিধায় পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কেইআইআইপি-র এক আধিকারিক জানান, নিকাশির সমস্যা রয়েছে। যত দিন না নকশা তৈরি হচ্ছে তত দিন পুরসভার নিকাশি বিভাগের কাজ করতে অসুবিধা হবে। দু’-এক মাসের মধ্যে এই নকশা পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট বরোকে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy