যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ছবি: সংগৃহীত।
ক’দিন আগেই ইমেলটি পেয়েছিলেন কলকাতার এক অধ্যাপক। প্রেরক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। সেখানে তিনি পেশাগত কিছু বিষয়ে ওই অধ্যাপকের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন। মেল পেয়ে অবাক হয়ে যান তিনি। কারণ, এ রকম কোনও আর্জি যাদবপুরের উপাচার্য করবেন এমনটা খুবই অস্বাভাবিক।
সন্দেহ হওয়ায় তিনি সরাসরি যোগাযোগ করেন সুরঞ্জনবাবুর সঙ্গে। ইমেলের কথা শুনে চমকে ওঠেন উপাচার্য। কারণ, যে আইডি থেকে ওই মেল পাঠানো হয়েছে, তেমন কোনও আকাউন্ট সুরঞ্জনবাবুর নেই। ওই অধ্যাপককে বিষয়টি জানান তিনি। কিন্তু, ঘটনা এখানে থেমে থাকেনি। গত কয়েক দিনে এ রকম মেল তাঁর নাম করেই সুরঞ্জনবাবুর একাধিক পরিচিত জনের কাছে গিয়েছে। একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে উপাচার্য জানতে পারেন, তাঁর নাম করে মেল গিয়েছে। কোনও মেলে পেশাগত, কোথাও ব্যক্তিগত সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সল্টলেকের বাসিন্দা সুরঞ্জনবাবু বুধবার বিধাননগর কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে সুরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত ইমেল আইডি ইয়াহুতে রয়েছে। কিন্তু তাঁর নাম করে যে মেলগুলি পাঠানো হয়েছে, সেগুলি হটমেলের কোনও একটি অ্যাকাউন্ট থেকে। বিধাননগর পুলিশের ডিসি (সদর) অমিত পি জাভালগি এ দিন জানিয়েছেন, “সাইবার ক্রাইম থানা উপাচার্যের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে।”
আরও পড়ুন: ঠাকুমাকে মেরে মা ঠিক করেনি, লজ্জায় কুঁকড়ে নাতি
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর মৃত দেড় বছর, ভোটে ‘গা নেই’ রাজ্যের
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, সুরঞ্জন দাসের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে এই নতুন ইমেল আইডি খোলা হয়েছে। যিনি এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন, তিনি উপাচার্য সম্পর্কে অনেক তথ্য জানেন বলেই অনুমান পুলিশের। আপাত ভাবে এই হটমেলটি জাল বলে চিহ্নিত করা কঠিন। যে আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে এই জাল অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে, তদন্তকারীরা তার সন্ধান পেয়েছেন বলেই জানিয়েছেন ডিসি (সদর)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy