সোনা পাপ্পু
কসবার তালবাগানে যুবক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ পোদ্দার ওরফে সোনা পাপ্পুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মোবাইলের সূত্র ধরেই সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়ির ভক্তিনগরের একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করেন কসবা থানা ও লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখার গোয়েন্দারা। সোমবার সন্ধ্যায় পাপ্পুকে নিয়ে পুলিশের একটি দল কলকাতায় রওনা দিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার সকালে তাকে কলকাতার আদালতে তোলার কথা। এই খুনের ঘটনায় আগেই সোনা পাপ্পুর সঙ্গী জয়দেব দাস-সহ ছ’জন গ্রেফতার হয়েছে। এদের সকলের বিরুদ্ধে খুন, সংঘর্ষ ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত আরও দু’জন এখনও ফেরার।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কসবার সুইনহো লেনে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে পলাশ জানা নামে এক যুবক খুন হন। পুলিশ জানিয়েছিল, ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল সোনা পাপ্পু। মৃতের পরিবারের তরফে তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরেই ‘এলাকার ত্রাস’ বলে পরিচিত সোনা পাপ্পুকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পরের দিনেই তাকে গ্রেফতারের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ কসবা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মৃত পলাশের পরিবার ও পাড়ার বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিলেন সোনা পাপ্পু। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন থেকে জানা যায়, সে জলপাইগুড়িতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। পুলিশ জানতে পারে, ৭ ফেব্রুয়ারি পলাশ খুন হওয়ার পরের দিনই উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা হয় সোনা পাপ্পু। জলপাইগুড়ির একটি হোটেলে ওঠে সে। সেখানে সে বিশ্বজিৎ পোদ্দার নামে থাকছিল বলে জেনেছে পুলিশ। তাকে ধরতে রবিবারই রওনা হন লালবাজার গুণ্ডাদমন শাখা ও কসবা থানার অফিসারেরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোনা পাপ্পুর বিরুদ্ধে আগেও অবৈধ নির্মাণ, মারধর ও খুনের চেষ্টায় প্রায় ১৫টি অভিযোগ রয়েছে। একাধিক বার পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে এবং পরে জামিনে মুক্তি পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy