—ফাইল চিত্র।
পোস্তায় ভেঙে পড়া বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য খড়গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করল রাজ্য সরকার।
সেতুটি পুরো ভাঙা হবে, নাকি ভেঙে পড়া অংশ জোড়া যাবে, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞেরা রাজ্য সরকারকে বিস্তারিত ভাবে জানাবেন। মার্চ থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। জুনে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা আইআইটি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য করছেন বলে সূত্রের খবর। নবান্নের পূর্ত কর্তাদের আশা, জুন মাসের মধ্যেই বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ পরিষ্কার হবে।
পূর্ত দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘আইআইটি-র স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক শ্রীমান ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞেরা সেতুর অবস্থা পরীক্ষা করছেন।’’ আইআইটি-র বিশেষজ্ঞেরা ঠিক কী কী দেখবেন? ওই কর্তা জানান, সেতুর যে অংশটি এখনও রয়েছে, সেটির অবস্থা পরীক্ষা করা হবে। নকশা অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে কি না, কী কী জিনিস সেতু তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে, নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার হয়েছে কি না— সবই দেখবেন বিশেষজ্ঞেরা।
আরও পড়ুন
পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, কেন্দ্র ২০০৮-এ জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে এই সেতুটি মঞ্জুর করে। খরচ ধরা হয়েছিল ১৫৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। কেএমডিএ সেতুর কাজ শুরু করে ২০০৯-এ। আইভিআরসিএল সংস্থা সেতু তৈরির বরাত পায়। ২০১৬-র ৩১ মার্চ নির্মীয়মাণ ওই সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। বহু লোকের মৃত্যু হয়। ভাঙার কারণ অনুসন্ধানে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি হয়। সেই কমিটিতে আইআইটি-র বিশেষজ্ঞেরাও ছিলেন।
ওই কমিটির রিপোর্টে নকশায় ত্রুটি, নিম্নমানের জিনিসপত্র ব্যবহার করা ও নির্মাণে গাফিলতির ইঙ্গিত রয়েছে। তার পরেই সেতুর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে বলার জন্য রাজ্য সরকার আইআইটিকে ফের দায়িত্ব দিয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ওই উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy