অমিতাভ দাস এবং মৈত্রেয়ী সাহা। নিজস্ব চিত্র
ব্যাঙ্কের কাজে গড়িয়াহাটে এসে মঙ্গলবার নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সোনারপুরের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়। দু’দিন পরে, বৃহস্পতিবার নিউ দিঘার একটি হোটেলে খোঁজ মিলল ৬১ বছরের ওই ব্যক্তি স্বপন ঘোষের। তাঁকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন অমিতাভ দাস ওরফে মিঠু এবং মৈত্রেয়ী সাহা। মৈত্রেয়ী প্রাক্তন কংগ্রেস কর্মী। বর্তমানে তিনি মহিলা তৃণমূলের অন্যতম সহ-সভানেত্রী।
পুলিশ জানায়, ঘটনার রাতে স্বপনবাবুর স্ত্রী গোপাদেবী নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে জানা যায়, ওই দিন দুপুরে স্বপনবাবু যখন ব্যাঙ্কে এসেছিলেন, তখনই তাঁকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যান অভিযুক্তেরা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশ।
পুলিশ জেনেছে, স্বপনবাবু আদতে একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মালিক। কো-অপারেটিভের নাম করে বহু মানুষকে ঠকিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন তিনি। অমিতাভ ও মৈত্রেয়ীও তাঁকে টাকা দিয়ে ঠকেছেন। আমানতকারীদের অভিযোগ, স্বপনবাবু বহু বার টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেননি। পরে কথা হয়, টাকার বদলে তিনি জমি ও সোনা দেবেন। তা-ও দেননি। এর পরেই তাঁকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন অমিতাভ ও মৈত্রেয়ী।
পুলিশ জানায়, অর্থলগ্নি-কাণ্ডে আগেও একাধিক বার গ্রেফতার হয়েছেন স্বপনবাবু। যাদবপুরে একটি কো-অপারেটিভের নাম করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের থেকে টাকা তুলেছেন তিনি। আমানতকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে পুলিশ সব জেনেও পদক্ষেপ করেনি।
বাগুইআটির বাসিন্দা কল্পনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি আগে যাদবপুরে থাকতেন। তাঁর থেকে দফায় দফায় ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন স্বপনবাবু। গত বছর জানুয়ারিতে পুলিশে জানান তিনি। কিন্তু টাকা ফেরত পাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy