ছবি: সংগৃহীত।
কথা রাখলেন পুর কর্তারা। এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের চিঠি পাওয়ার পরে অবশেষে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। শুক্রবারই কলকাতা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (কেইআইআইপি)-এর দায়িত্ব পেলেন যাদব মণ্ডল। যিনি এত দিন ছিলেন, নন্দন-এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার। তাঁর জায়গায় এখন স্থলাভিষিক্ত হলেন মহুয়া মৈত্র। তবে আপাতত যাদববাবুকে কেইআইআইপি-র অ্যাডিশনাল প্রোজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে কেইআইআইপি-তে কোনও প্রোজেক্ট ডিরেক্টর না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (এডিবি) কর্তৃপক্ষ। মূলত এডিবি-র দেওয়া আর্থিক ঋণ নিয়েই কলকাতার পরিবেশ উন্নয়ন এবং নিকাশির কাজ করে থাকে কেইআইআইপি।
সম্প্রতি এডিবি-র ‘কান্ট্রি ডিরেক্টর’ কেনিসি ইয়োকোহামা কলকাতা পুর প্রশাসনকে একটা চিঠিও দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়, কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলছে, সেখানে স্থায়ী প্রোজেক্ট অফিসার অবশ্যই থাকা দরকার। পুরো সময়ের জন্য প্রোজেক্ট ডিরেক্টর না থাকায় প্রকল্পের কাজেও অসুবিধা হচ্ছে বলে জানানো হয়। এডিবি-র দাবি, গত বছরেও পুর প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের সময়ে জানানো হয়েছিল বিষয়টি। কিন্তু তার পরেও কোনও হেলদোল হয়নি। তাঁরা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও বিষয়টি জানান।
পুর আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, কোটি কোটি টাকার প্রকল্প, তাই ‘দেখে-শুনে’ নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রের খবর, গত দু’টি পর্যায়ে প্রায় ১৯৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এডিবি। সুতরাং এডিবি-র দেওয়া চিঠির গুরুত্ব বুঝেই যাদববাবুকে দ্রুত নিয়োগ করা হয়েছে।
শুক্রবারই কেইআইআইপিতে কাজে যোগ দিয়েছেন যাদববাবু। এবং এ দিনই পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন। তবে এডিবি তো প্রোজেক্ট অফিসার চেয়েছে। আর যাদববাবু যোগ দিয়েছেন অ্যাডিশনাল প্রোজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে। তাতে কোনও অসুবিধা হবে কী না জানতে চাইলে মেয়র শোভনবাবু বলেন, ‘‘দিন কয়েকের মধ্যে ওঁকেই পুরো দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy