ফাইল চিত্র।
১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিলের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ধাপে-ধাপে তা করা হচ্ছে। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এমনই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি করল কলকাতা পুরসভা।
শুক্রবারই নবান্নে দূষণ সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মান্য করার জন্য পরিবহণ, পরিবেশ, কলকাতা পুরসভা, কেএমডিএ-সহ একাধিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকেই পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি বাতিলের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। যার প্রেক্ষিতে শনিবার পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘পুরসভার ১৫ বছরের পুরনো যে বাণিজ্যিক গাড়ি রয়েছে, তা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পঞ্চাশ শতাংশ গাড়ি ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, সব চেয়ে পুরনো গাড়ি রয়েছে জঞ্জাল সরবরাহ দফতরের। জঞ্জাল সংগ্রহ করার অনেক লরিরই মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। কত সংখ্যক লরি এমন রয়েছে, চিহ্নিত করে ধাপে-ধাপে তা বাতিল করা হচ্ছে। তবে শুধু যানবাহনের দূষণই নয়, রাস্তার ধুলোও বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ বলে একাধিক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে। ধুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার গাড়ি ও ‘মেকানিক্যাল ওয়াশার’ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর-প্রশাসন। রাস্তায় জল দেওয়ার পাশাপাশি, রাস্তার পাশের বাগানেও ওই গাড়িগুলি দিয়েই জল দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকদের একাংশ। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘রাস্তায় জল দিলে ধুলো তবু কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’’
এর আগে রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলিতে যাতে উনুনে রান্না না হয়, তার জন্য সেগুলিতে ইলেকট্রিক হিটার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। দরপত্র আহ্বানের দায়িত্ব পুরসভাকে দেওয়া হয়েছে। তবে সে প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি বলেই পুরসভা সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy