গড়িয়াহাট বাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর দোকান থেকে বের করা হচ্ছে পুড়ে যাওয়া কাপড়। ফাইল চিত্র।
গড়িয়াহাট মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে ছিলেন, প্লাস্টিক ছাউনির নীচে কোনও হকার ব্যবসা করতে পারবেন না। ওই নির্দেশের পরে কিছু হকার প্লাস্টিক সরিয়ে নিলেও তা কিন্তু পুরোপুরি সরানো যায়নি। পুরসভা সূত্রের খবর, এ বার সেই নির্দেশ কার্যকর করতে আজ, বুধবার গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, হাতিবাগান-সহ শহরের ছ’টি বাজারে অভিযান চালানো হবে। পুরসভার বাজার দফতরের কর্মীদের সঙ্গে থাকবেন একাধিক অফিসার, পুলিশ এবং পুরসভার নিরাপত্তা বাহিনী।
পুরসভা সূত্রের খবর, গড়িয়াহাট, হাতিবাগানের মতো বাজারে ছেয়ে গিয়েছে প্লাস্টিকের ছাউনি। যে কোনও সময়ে আগুন লাগলে প্লাস্টিকের ছাউনির মাধ্যমে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। গত মাসে ঘটে যাওয়া গড়িয়াহাটে একটি কাপড়ের দোকানে অগ্নিকাণ্ডেও দেখা গিয়েছিল, সামনে থাকা স্টলের প্লাস্টিক-ছাউনি জ্বলে আগুনের প্রকোপ আরও বেড়েছে। তার পর থেকেই হাতিবাগান, নিউ মার্কেট নিয়ে চিন্তা বাড়ে পুর প্রশাসনের।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেয়র বৈঠক করে জানিয়ে দেন, শহরে প্লাস্টিকের ছাউনি রাখা যাবে না। পরিবর্তে স্টিলের স্টল বানিয়ে দেওয়ার প্রকল্পও হাতে নেয় পুর প্রশাসন। আপাতত, গড়িয়াহাটে ক্ষতিগ্রস্ত হকারদের সেই স্টল বানিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে পুরসভা। পুরসভার কারখানা থেকে একটি স্টল তৈরি করে রাখা আছে গড়িয়াহটে। বাকি স্টল তৈরির কাজ চলছে। এ ব্যাপারে মেয়র জানান, ওই বাজারগুলিতে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্লাস্টিকের ছাউনি সরাতেই হবে। পরিবর্তে একই নকশার স্টল বানানো হবে পুরো শহরের জন্য। ইতিমধ্যেই কয়েকটি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন মেয়র। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘খুব দ্রুত ওই নকশা তৈরি হবে। যা দৃষ্টিনন্দন হিসেবেও করা হচ্ছে। ফুটপাতের এক ধারে সেই স্টল থাকবে, যাতে পথচারীদের যাতায়াতের কোনও সমস্যা না তৈরি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy