সাফসুতরো: সমাবেশ চত্বর পরিষ্কার করছেন পুরকর্মীরা। রবিবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
সমাবেশ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই তৈরি ছিলেন কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের শ দু’য়েক কর্মী। রবিবার দুপুর পৌনে দুটোয় ভাষণ পর্ব শেষ হতেই শুরু হয়ে যায় পড়ে থাকা কাগজ, প্লাস্টিকের কাপ তোলার কাজ। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের সভাস্থল এবং তার সংলগ্ন এলাকা তাই দ্রুত সাফসুতরো হয়ে যায়।
এ দিন মেট্রো সিনেমার কাছে দাঁড় করানো ছিল দু’টি আধুনিক যন্ত্র ঝাড়ু (মেকানিক্যাল সুইপার), ১২টি চলমান স্বয়ংক্রিয় কম্প্যাক্টর, ৪৫টি অটো ডিপার (বিনে জমা পড়া ময়লা তোলার জন্য)-সহ ডজন খানেক বড় গাড়ি। একশো দিনের দেড়শো পুরুষ ও মহিলা সাফাইকর্মীর হাতে ছিল লম্বা ঝাঁটাও। ছুটির দিন হলেও সকাল ১০টার ভিতরেই তাঁরা হাজির হয়ে যান ধর্মতলা চত্বরে। দুপুর দেড়টা নাগাদ মঞ্চে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ তখন প্রায় শেষের দিকে। সে সময়ই সাফাইকর্মীদের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো শুরু হয়। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার-সহ দফতরের একাধিক অফিসারও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
ভাষণ শেষ হতেই চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট-সহ ওই চত্বরের অলিগলি থেকে কাগজ, প্লাস্টিক, কাপ প্রভৃতি তোলার কাজ শুরু করে দেন সাফাইকর্মীরা। জঞ্জাল তোলার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে সে সব বোঝাই করে বড় গাড়িতে ভরা হতে থাকে। যন্ত্র ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দেওয়া হয় কয়েকটি এলাকায়। সঙ্গে চলে হাতে ঝাঁট দেওয়া। ৪৫ মিনিটেই সাফ হয়ে যায় সমাবেশ চত্বর। দেবব্রতবাবু জানান, এ বার সমাবেশ স্থলে থার্মোকলের থালা ফেলার পরিমাণ কম ছিল। সচেতনতা থেকেই হয়তো অনেকে রাস্তায় থালা ফেলেননি। তাই দ্রুত সাফাই শেষ করা গিয়েছে।
সমাবেশ চত্বরের কাজ শেষ করে সাফাইকর্মীদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যান অফিসারেরা। জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক অফিসার জানান, সমাবেশ এলাকা ছাড়াও বহু মানুষ গিরিশ পার্ক, শ্যামবাজার, শিয়ালদহ, হাজরা, গড়িয়াহাট, চেতলা, রাসবিহারী মোড়ে জমায়েত করে সভার উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু করেন। স্ট্র্যান্ড রোড-কিংস ওয়ে মোড়, সিএবির বিপরীত, ময়দান চত্বর, ভিক্টোরিয়া এলাকা এবং রেস কোর্সের কাছে অনেক বাস রাখা ছিল। সেখানে রান্না হওয়ায় উচ্ছিষ্ট, এঁটো থালা পড়ে ছিল। সে সবও পরিষ্কার হয়। সন্ধ্যার মধ্যেই সাফ হয়ে যায় পার্ক স্ট্রিট, জওহরলাল নেহরু রোডের ফুটপাতে সমাবেশে যোগদানকারীদের ফেলে দেওয়া জঞ্জাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy