অনুমতি ছাড়াই সাব-মার্সিবল পাম্প বসিয়ে মাটির নীচ থেকে জল তুলে বোতলবন্দি করে বিক্রি করা হচ্ছে। এক বছর আগে এমনই অভিযোগ উঠেছিল বিধাননগর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেই ব্যবসা বন্ধ করে পুর প্রশাসন। তারা এ-ও জানিয়েছিল, এই ধরনের ব্যবসা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে পদক্ষেপ করা হবে। বাড়ানো হবে নজরদারি। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এক বছর পরে পুরসভার তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও তাগিদ দেখা যায়নি। যদিও পুরসভা দাবি করেছে, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ওই ঘটনার পরে এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে এই সংক্রান্ত আর কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির তলার জল তুলে এখনও বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে বাসিন্দাদের একটি অংশের তরফে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এমন ব্যবসা এখনও চলছে বলে শোনা গিয়েছে। আগে অভিযান চালিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ বারও ভোটের পরে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। বোতলবন্দি ওই জল আদৌ পানীয়ের যোগ্য কি না, তা পরীক্ষা করার দাবিও জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
পুরসভা সূত্রের খবর, অনুমতি ছাড়া ভূগর্ভের জল তুলে বিক্রির ব্যবসা হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত নজরে রাখার মতো পরিকাঠামো তাদের নেই। তবে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, অভিযোগ এলে পদক্ষেপ করা হয়। মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসও জানিয়েছেন, তেমন অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কী ভাবে? নির্বাচনী বিধি জারি হওয়ায় এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি পুরকর্তারা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সম্প্রতি রাজারহাটের জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ডায়রিয়ার প্রকোপে ৭৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত আসরে নামে পঞ্চায়েত। রাজারহাট বিডিও অফিস সূত্রের খবর, একটি কলের জলে জীবাণু মিলেছে। সেই কলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিধাননগরের মতো রাজারহাটেও বোতলবন্দি জল বিক্রি হয়। ডায়রিয়ার প্রকোপের পরে ওই জলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিডিও অফিস সূত্রের খবর, ভোটের পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy