বেআইনি হোর্ডিংয়ের ব্যবসা রুখতে এ বার বিশেষ অ্যাপ চালু করছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা পুরসভাকে প্রয়োজনীয় টাকা না দিয়েই এক শ্রেণির ব্যবসায়ী শহরে হোর্ডিংয়ের ব্যবসা করছেন বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রবণতা ঠেকাতে এ বার বিশেষ অ্যাপ চালু করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম মঙ্গলবার এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী শহরে হোর্ডিংয়ের ব্যবসা করছেন পুরসভাকে কর না দিয়েই। তাঁদের চিহ্নিত করতে অ্যাপের সাহায্য নেওয়া হবে।’’
প্রসঙ্গত, বেআইনি হোর্ডিং নজরে পড়লে পুরসভা সেগুলি ভাঙার চেষ্টা করে ঠিকই। তবে, বেশির ভাগ বেআইনি হোর্ডিং পুরকর্তাদের নজরের আড়ালে থেকে যায়। আর এ সবের পিছনে এলাকার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর একাংশের মদতও থাকে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। তার ফলে প্রতি বছর বিজ্ঞাপন-কর বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা পুরসভার ভাঁড়ারে জমা পড়ে না।
এ দিন মেয়র জানান, শহরের কোন রাস্তায় কত হোর্ডিং রয়েছে, সেগুলির মধ্যে কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ— এ সবের খুঁটিনাটি ধরা যাবে অ্যাপে। কোন হোর্ডিংয়ের বিজ্ঞাপন-কর এবং ভাড়া কত, তা-ও জানা যাবে। ওই অ্যাপের মনিটর বসানো থাকবে পুর ভবনে সংশ্লিষ্ট দফতরের চিফ ম্যানেজারের ঘরে। তিনিই সব কিছু নজরে রাখবেন। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেবেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, দিন কয়েকের মধ্যে এই অ্যাপের গুণাগুণ চিত্র সহকারে মেয়রকে দেখানো হবে। ফিরহাদ আরও জানিয়েছেন, শহরে যাঁরা হোর্ডিংয়ের ব্যবসা করেন, তাঁদের বলা হয়েছে ফ্লেক্সের বদলে এলইডি ও ক্যানভাস ব্যবহার করতে। কারণ, ফ্লেক্স থেকে পরিবেশ নষ্ট হয় এবং সেগুলি ছিঁড়ে রাস্তার ধারে নর্দমায় পড়ে থাকে। এ সব ঠেকাতেই ফ্লেক্স ব্যবহার বন্ধ করার অনুরোধ করা হচ্ছে। মেয়র জানান, হোর্ডিংয়ের
পরে কলকাতা শহরে গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও এই ধরণের অ্যাপের প্রয়োগ করা হবে। কারণ, পার্কিং নিয়েও একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে পুরসভায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy