Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
KMC

সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে জোর পুর প্রশাসনের

এ দিন রাজ্যের শ্রম, সমাজকল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে ওই বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:১৮
Share: Save:

কলকাতায় সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিতে আরও বেশি জোর দিতে চায় পুর প্রশাসন। বুধবার পুর ভবনে এক বৈঠকে তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের ‘মানবিক’ প্রকল্প শহরে চালু করা হবে। উল্লেখ্য, ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্রতি মাসে পেনশন দেওয়া হয় ওই প্রকল্পে। এত দিন তাঁদের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য পূর্ত ভবনে যেতে হত। এ বার থেকে প্রতি বরোয় আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন তাঁরা। পুরসভা পরে সেই সব আবেদনপত্র পাঠিয়ে দেবে পূর্ত ভবনে। প্রতিবন্ধীদের শারীরিক অসুবিধার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত

এ দিন রাজ্যের শ্রম, সমাজকল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে ওই বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, বর্তমানে কলকাতা পুর এলাকায় অংসগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৬ হাজার। তাঁরা সকলেই যাতে শ্রম দফতরের আওতায় থেকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুযোগ পান তার ব্যবস্থা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, আগামী মাসের মাঝামাঝি ওই শ্রমিকদের কাছে আবেদনপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই কাজ করার জন্য প্রতি ওয়ার্ডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তিন জনকে। তাঁরাই শ্রমিকদের কাছে আবেদনপত্র পৌঁছে দেওয়া এবং তা সংগ্রহ করার কাজ করবেন।

মেয়র বলেন, ‘‘সামাজিক সুরক্ষায় নানা প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। সেগুলির সুযোগ-সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই সরকারের কাজ।’’ একই সঙ্গে তফশিলি জাতি, উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির বাসিন্দাদের শংসাপত্র দেওয়ার জন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শিবির করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, কাউন্সিলর ও পুরকর্মীদের আগেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার কথা হয়েছিল। এ বার তা কার্যকর হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

KMC Firhad Hakim
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE