শহরের রাস্তায় এলইডি আলো। নিজস্ব চিত্র
শহরের রাস্তায় এলইডি বাতি লাগানোর মাস খানেকের মধ্যেই বেশ কিছু খারাপ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়ছিল পুরসভায়। দেখা গিয়েছিল, মূলত একটি বেসরকারি সংস্থার লাগানো আলো নিয়েই সমস্যা। এর পরেই ওই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুরসভা। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় সরকারের শক্তি মন্ত্রকের অনুমোদিত এক সংস্থা পুরসভাকে এলইডি আলো সরবরাহের আশ্বাস দিল। সম্প্রতি ওই সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কমিশনার-সহ পুরসভার পদস্থ কর্তারা। পুর প্রশাসনকে তাঁরা জানান, সরবরাহ করা ওই এলইডি বাতির গ্যারান্টি সাত বছরের।
এক পুর আধিকারিক জানান, বৈঠকে ওই সংস্থা জানিয়েছে বাতি কিনতে যা খরচ হবে প্রথমেই তা দিতে হবে না পুরসভাকে। ওই সংস্থাই তা সরবরাহ করবে। তবে সাত বছরে গ্যারান্টি পিরিয়ডের মধ্যে বাৎসরিক কিস্তিতে তা মেটাবে পুরসভা। তবে কিস্তিতে টাকা মেটানোর জন্য সুদ বাবদ বাড়তি টাকা দিতে হবে না পুরসভাকে। এর ফলে পুরসভার উপরে খরচের চাপ কমবে বলে মনে করছে পুর প্রশাসন।
পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় কয়েকটি বরো এলাকার কিছু রাস্তায় গ্রিন সিটি প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে। পুরসভার ১, ২, ৪, ৬ এবং ৭ নম্বর বরো এলাকার রাস্তায় এখনও অনেক বাতিস্তম্ভে সোডিয়াম ভেপার, মেটাল হ্যালাইড লাগানো রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ওই পাঁচটি বরোতে এলইডি লাগিয়ে সমীক্ষা করবে সংস্থাটি। সেখানে যে সব বাতিস্তম্ভে সোডিয়াম ভেপার, মেটাল হ্যালাইড রয়েছে তা খুলে তাঁদের সংস্থার এলইডি লাগাবে। এক পুর কর্তা জানান, সংস্থাটিকে সমীক্ষা করে জানাতে বলা হয়েছে কত ওয়াটের বাতি লাগাতে হবে। তাতে কার্বন নিঃসরণের হার কতটা কমবে, খরচই বা কতটা কমবে, সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই শহরের সব রাস্তায় এলইডি লাগানোর জন্য পুর নিয়ম মেনে বরাত দেওয়ার পদ্ধতি শুরু হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
একই সঙ্গে এখন শহরে যে সব বাতি রয়েছে, সেগুলো খুলে নেওয়ার পরে কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। পুরসভার আলো দফতরের এক আধিকারিক জানান, শহরে প্রায় দু’লক্ষেরও বেশি বাতিস্তম্ভ রয়েছে। এলইডি লাগানোর পরে সংস্থাটিকে খুলে ফেলা বাতি কিনে নেওয়ার কথাও তোলা হয়েছে বৈঠকে। পুরসভা সূত্রের খবর, আপাতত সমীক্ষার কাজ শুরু করছে ওই সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy